ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৫, ১২:৫০
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই ওই বাজারে ‘গাজীকালু-চম্পাবতী’ নামের একটি মেলার আয়োজন করা হয়। জামায়াতের কর্মীরা অভিযোগ করেন, মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবিতে তারা প্রতিবাদ করেন। অন্যদিকে, বিএনপি সমর্থিত মেলা কমিটি তাদের অবস্থানে অনড় থাকে।
বিকেল থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সন্ধ্যায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত হন অন্তত ১৫ জন।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন—আসাকুর রহমান, হাবিবুর রহমান, কুদ্দুস প্রামাণিক, তুহিন হোসেন, সরাফাত সুলতান, টিপু সুলতান, সুকুর শেখ, শরীফ, জিহাদ হোসেন, জামাত আলী ও ইউনুস আলী।
বিএনপির সমর্থক ও খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান বলেন, “জামায়াতের শত শত লোকজন অতর্কিতে হামলা চালিয়ে দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।”
মেলার দোকানিরা জানান, “সন্ধ্যার কিছু আগে জামায়াত-শিবিরের লোকজন লাঠিসোঁটা, রামদা ও হাঁসুয়া নিয়ে দোকানে হামলা চালায়। প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে।”
অন্যদিকে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদ জানাতেই আমাদের নেতাকর্মীরা গিয়েছিল। সেখানে হামলা চালায় মেলা কমিটির লোকজন।”
জগন্নাথপুর ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়া চলছিল। আমরা প্রতিক্রিয়া জানাতে গেলে আমাদের ওপর হামলা হয়।”
ঘটনার বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ জানান, “মেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আহতরা চিকিৎসাধীন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।