বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন ওডিআই অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, সদ্য অবসর নেওয়া মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শূন্যতা পূরণে মিডল অর্ডারে সিনিয়র খেলোয়াড়দেরই দায়িত্ব নিতে হবে।
মঙ্গলবার কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আমরা আর কোনো ওডিআই খেলিনি। এ সময়ে মুশফিক ভাই ও রিয়াদ ভাই অবসর নিয়েছেন, যারা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে খেলতেন। আমরা চেষ্টা করব সেই পজিশনগুলোতে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দিয়ে পূরণ করতে।”
মিরাজ আরও বলেন, “আমি নিজে অধিনায়ক হিসেবে একটি পজিশনে ব্যাট করতে পারি, আরেকটি পজিশনে লিটন খেলতে পারে। ওই দুটো পজিশন থেকেই খেলার ভিত্তি তৈরি হয়। তাই আমরা সিনিয়ররাই এই দায়িত্ব নেওয়া উচিত, তরুণদের উপর চাপ না দিয়ে।”
সম্প্রতি আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিডল অর্ডারে ব্যাট করে তিনটি ফিফটি করেছেন মিরাজ। যদিও তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে—প্রথম দুটি ইনিংসে ছিল ৫৫.৪৬ ও ৭৩.২৭।
অন্যদিকে, সোমবার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে স্পিনারদের বিপক্ষে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করেন লিটন দাস। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুকরণ করে তিনি লেগ স্পিন ও অফ স্পিন মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেন, যা তার মিডল অর্ডার ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়।
মিরাজ ও লিটনের পাশাপাশি মিডল অর্ডারের আরেকটি ভরসার নাম তৌহিদ হৃদয়। ইতোমধ্যে তাকে চার নম্বর পজিশনে খেলানো হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে তিনি নিজের জায়গা মজবুত করেছেন।
আরও রয়েছেন জাকের আলি আনিক, যিনি সব ফরম্যাটে ধারাবাহিক ফর্মে আছেন। সম্প্রতি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে ছয় নম্বর পজিশনে খেলেছেন এবং সেই অবস্থানে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তালিকায় আছেন শামীম হোসেনও। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত এবং স্পিন মোকাবেলায় কার্যকর। স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিং এবং আংশিক বোলিং সামর্থ্য তাকে একটি বিকল্প অপশন হিসেবে দলে রেখেছে।
বাংলাদেশ দলের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি ওডিআই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২, ৫ ও ৮ জুলাই।