শনিবার উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চেলসিকে ৩-০ গোলের জয় এনে দিতে বদলি হিসেবে নেমে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এস্তেভাও। তরুণ এই উইঙ্গারের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ চেলসি ম্যানেজার এনজো মারেস্কা।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে রাইট-ব্যাক মালো গুস্তোর গোলে চেলসি এগিয়ে গেলেও খেলার ভাগ্য তখনো দুলছিল। ম্যাচের প্রায় এক ঘণ্টা পর ১৮ বছর বয়সী এস্তেভাওকে মাঠে নামানো হয়। মাঠে নামার মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার স্বদেশী জোয়াও পেদ্রোকে দিয়ে দলের দ্বিতীয় গোলটি করান, যা চেলসিকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেয়।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মারেস্কা বলেন, “এই ম্যাচের আগে আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। এই ধরনের ম্যাচগুলো বেশ কঠিন হয়। সবাই হয়তো ভাবছিল এটা সহজ ম্যাচ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বুঝতে পারছি, প্রথমার্ধে আমরা গোল না করায় দর্শকরা খুশি ছিল না। কিন্তু এস্তেভাও মাঠে নামার পর স্টেডিয়ামের শক্তিটাই বেড়ে যায়, কারণ দর্শকরা এই ধরনের খেলোয়াড়কে ভালোবাসে। আপনারা তার প্রতিভা দেখতে পাচ্ছেন। আমরা তাকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করছি এবং সঠিক সময়ে খেলার সুযোগ দিচ্ছি। সে ব্রাজিল থেকে এসেছে, তার মানিয়ে নিতে সময় প্রয়োজন, তবে ভবিষ্যতে সে আমাদের হয়ে শুরু থেকেই খেলবে।”
মারেস্কা একই সাথে আর্জেন্টাইন উইঙ্গার আলেহান্দ্রো গারনাচোর খেলার ধরনেরও প্রশংসা করেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে প্রায় ৪০ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তিতে চেলসিতে যোগ দেওয়া গারনাচো এই ম্যাচে দুটি গোলে সহায়তা করেছেন।
গারনাচো সম্পর্কে মারেস্কা বলেন, “সে এমন একটি ক্লাব থেকে এসেছে যেখানে সে শতভাগ প্রশিক্ষণ নিত না, তাই তার শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিল না। ধীরে ধীরে সে এখন ভালো করছে। সে জানে আমাদের দলে খেলতে হলে তাকে বল পায়ে এবং বল ছাড়া উভয় ক্ষেত্রেই ভালো হতে হবে, নইলে সে খেলতে পারবে না। আমরা তাকে নিয়ে খুব খুশি।”
এই জয়ের ফলে চেলসি সাময়িকভাবে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক বিরতির পর আগামী ২২ নভেম্বর চেলসি লিগের ম্যাচে বার্নলির মুখোমুখি হবে।
