মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে মারধর ও এক নারী কনস্টেবলকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঘিওর থানার ওসি কোহিনূর ইসলাম শুক্রবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলায় বিএনপির ৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিএনপির জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস নিয়ে একটি রাজনৈতিক বহর ঘিওর থানায় প্রবেশের চেষ্টা করে। হঠাৎ এ কনভয় ঢোকার চেষ্টা করলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সতর্ক হন।
এসময় বহরের গাড়ি থানা প্রাঙ্গণে পার্ক করতে চাইলে দায়িত্বে থাকা এক নারী কনস্টেবল বাধা দেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলামের সহায়তা চান। এএসআই রফিকুল কারণ জানতে চাইলে বিএনপি কর্মীরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। রফিকুল তাদের অশালীন ভাষা ব্যবহার না করতে বললে কয়েকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর হামলা চালান।
ঘিওর কলেজে দায়িত্বে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এলে বিএনপি কর্মীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। তবে যাওয়ার আগে তারা পুলিশ সদস্যদের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে এএসআই রফিকুল নিজেই মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং দলের প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বাবলু দাবি করেন, তাদের কেউ কোনো পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ বা মারধর করেনি। বরং পুলিশ তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে বাধা দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে আচরণ করছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ বলছে, মামলার আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
