স্টকহোমের স্ট্রবেরি এরেনায় শনিবার অনুষ্ঠিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিডস ইউনাইটেডের মধ্যকার প্রাক-মৌসুমের প্রথম প্রস্তুতিমূলক ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। দুই দলের নতুন জার্সি ও নতুন মুখ নিয়ে মাঠে নামলেও খেলায় দেখা যায়নি উল্লেখযোগ্য কোনো সৃজনশীলতা বা আধিপত্য।
প্রথমার্ধে লিডস কিছুটা এগিয়ে ছিল ছন্দে। ম্যাচের শুরুতেই লুকাস নামেচা একটি দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিলেন, যদিও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ম্যানইউ তরুণ চিডো ওবি একটি দূরপাল্লার শটে প্রথমবার গোলরক্ষক কার্ল ডারলোকে পরীক্ষা করেন। বিরতির আগে ক্যাসেমিরোর এক ডিফ্লেক্টেড শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও লিডসই আধিপত্য বিস্তার করে। জেডেন বোগলের ডান দিক থেকে চালানো আক্রমণে ম্যানইউর গোলরক্ষক টম হিটন কয়েকবার গোল বাঁচান। পরবর্তীতে সাবেক ম্যানইউ খেলোয়াড় লার্জি রামাজানি একক প্রচেষ্টায় হিটনকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।
শেষ দশ মিনিটে ম্যাচে কিছু উত্তেজনা দেখা যায়। সাম চেম্বার্সের ট্যাকেলে পেনাল্টির দাবি জানান প্যাট্রিক ডোরগু, তবে রেফারি তা উড়িয়ে দেন। ম্যাচের শেষ প্রান্তে একটি কর্নার থেকে কোবি মেইনু বল বারপোস্টে মারেন এবং পরবর্তী প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
নতুন রিক্রুট মাতেউস কুনহা ও দিয়েগো লেওন প্রথম একাদশে সুযোগ পান। তবে কুনহার জন্য এটি হতাশাজনক অভিষেক ছিল। বলের সংস্পর্শে ছিলেন খুব কম, সুযোগ তৈরিতে ছিলেন নিষ্প্রভ। অপরদিকে, লেওন কিছুটা উজ্জ্বল ছিলেন, চিডো ওবির শট তৈরির পেছনে তার অবদান ছিল, তবে রক্ষণে গনতোকে সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা যায়।
প্রাক-মৌসুমে তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এটি একটি আদর্শ সময় হলেও কোচ রুবেন আমোরিম বেশ কিছু প্রতিভাবান তরুণকে মাঠে নামাননি। গডউইল কুকোনকি, রিস মনরো, সেকু কনে ও ইথান উইলিয়ামসকে বেঞ্চেই বসিয়ে রাখা হয়। মাত্র ৮০তম মিনিটে মাঠে নামানো হয় জ্যাক ফ্লেচারকে।
ম্যানইউর পারফরম্যান্স ছিল মূলত নিষ্প্রভ। আক্রমণভাগে তারা ছিল নীরস, সুযোগ তৈরিতে মন্থর এবং ফিনিশিং ছিল দুর্বল। সমর্থকরা আশা করবেন পরবর্তী ম্যাচগুলোতে দল আরও ছন্দে ফিরবে, বিশেষ করে ২০২৫–২৬ মৌসুমের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে।
ম্যাচটি যদিও ফলাফলের দিক থেকে গুরুত্বহীন, তবে পারফরম্যান্সে হতাশাই স্পষ্ট হয়েছে রেড ডেভিলসের শিবিরে। স্টকহোমের ড্র নিয়ে প্রশ্ন উঠছে—ম্যানইউ কি আগামী মৌসুমে ফিরতে পারবে তার পুরনো রূপে?