Monday, September 1, 2025
Homeজাতীয়জাতি আজ স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী

জাতি আজ স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী

সিলেটের সন্তান ওসমানী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি সেনাদের সংগঠক ও নেতৃত্বদাতা

আজ জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল মোহাম্মদ আতাউল গনি (এম এ জি) ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক ভিটা ছিল সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দয়ামীর গ্রামে।

১৯৪২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২৩ বছর বয়সে এম এ জি ওসমানী ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মেজর পদে উন্নীত হন, যা সে সময়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ১৯৪৭ সালের ৭ অক্টোবর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কর্নেল পদে অবসর নেন।

অবসর গ্রহণের পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনারা গণহত্যা শুরু করার আগে ওসমানী গোপনে আত্মগোপনে চলে যান। দুই দিন পর তিনি সিলেটের তেলিপাড়া চা বাগানে পৌঁছান, যেখানে দ্বিতীয় ও চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট অস্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন করেছিল।

৪ এপ্রিল তিনি সেখানে বাঙালি সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য সামরিক নকশা তৈরি শুরু করেন। তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাঙালি সেনারা সংগঠিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

জাতির ইতিহাসে এম এ জি ওসমানী শুধুমাত্র এক সামরিক নেতা নন, বরং স্বাধীনতার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকার জন্য তাকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।

RELATED NEWS

Latest News