নিজের কণ্ঠ, স্টাইল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাহসী বার্তার জন্য আলোচিত মার্কিন গায়িকা লিজো এবার জানালেন তার ওজন কমানোর পেছনের বাস্তব কৌশল।
৩৭ বছর বয়সী এই গায়িকা সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রধান স্থান দখল করে আছে প্রোটিন ও সবজি। তবে সবচেয়ে গুরুত্ব দেন তিনি সময়মতো খাওয়ার ওপর।
প্রোটিনে ভরসা আর নিয়মিত খাবারের সময়
সকালে লিজো খান দুটি স্ক্র্যাম্বলড ডিম, চিকেন সসেজ আর ফুলকপির হ্যাশ ব্রাউন। দুপুরে কখনও থাই চিকেন সালাদ আবার কখনও টুনা বা চিকেন স্লাইস দিয়ে বানানো লেটুস র্যাপ বেছে নেন তিনি।
রাতের খাবারে থাকে টার্কি মিটলোফ, ফুলকপি ম্যাশড পটেটো ও সবুজ বিনস। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—লিজো সাধারণত রাত ৫টার আগেই তার ডিনার শেষ করে ফেলেন।
এই অভ্যাসের কারণও জানালেন তিনি। গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) সমস্যায় ভোগার কারণে ঘুমানোর আগে তার শরীরকে খাবার হজমের সময় দিতে হয়।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস ও কফির বিকল্প
অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলেন লিজো। তার পছন্দের স্ন্যাকসের মধ্যে রয়েছে কম-চিনি যুক্ত গ্রিক দই, সঙ্গে ব্লুবেরি বা ব্ল্যাকবেরি এবং সামান্য মধু। কফির ক্ষেত্রেও আছে ব্যতিক্রম—প্রতিদিন এক কাপ কফি খান যাতে থাকে ভ্যানিলা প্রোটিন, একাধিক কাপ নয়।
নিজের শরীরের কথা শোনা গুরুত্বপূর্ণ
লিজো জানান, তিনি কোনো কঠোর ডায়েট মেনে চলেন না। বরং নিজের শরীরের চাহিদা বুঝে খাবার খান। সময় পেলে রেস্টুরেন্টেও যান এবং নিজের পছন্দের খাবার খান।
চিকেন টেন্ডারস দিয়ে ওয়াফল বা ক্র্যাব লেগস তার প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে।
অত্যাধুনিক ওষুধ ও পুষ্টির অভিজ্ঞতা
২০২৫ সালের জুনে ‘জাস্ট ট্রিশ’ পডকাস্টে লিজো জানান, তিনি ওজন কমাতে ওজেম্পিকসহ অন্যান্য GLP-1 ওষুধও ব্যবহার করেছেন। মূলত টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি এসব ওষুধের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি সব কিছুই চেষ্টা করেছি। এটি শুধু ক্যালোরি ইন বনাম ক্যালোরি আউটের বিজ্ঞান।”
২০২০ সালে তিনি ভেগান হন এবং ছয় মাসের ভেগান জার্নির আপডেট দেন টিকটকে। পরে জানান, “প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছিলাম না।” এরপর তিনি খাদ্য তালিকায় পশুজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত করেন এবং ওজন কমার স্পষ্ট ফলাফল পান।
স্বাস্থ্য মানে শুধু সংখ্যা নয়
লিজো বলেন, “ওজন কমানো মানেই একমাত্র স্বাস্থ্য নয়। ভারসাম্যই হলো সত্যিকারের সুস্থতা।”
তার এই পথচলা প্রমাণ করে, ওজন কমাতে দরকার শরীরের সংকেত শোনা, সময়মতো খাবার খাওয়া এবং নিজের ভালো লাগার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা।