পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারের পরও পুরো সিরিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। সিরিজ জয়ে বোলারদের অবদানের কথা আলাদাভাবে তুলে ধরেন তিনি।
শেষ ম্যাচে ৭৪ রানে পরাজিত হলেও বাংলাদেশ তিন ম্যাচের সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, “নিশ্চয়ই এই সিরিজে আমাদের বোলাররা বড় ভূমিকা রেখেছে। প্রথম ম্যাচে আমরা তাদের ১১১ রানে অলআউট করেছি, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৫ রান ডিফেন্ড করেছি – সেটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের ম্যাচেও আমি মনে করি বোলাররা ভালো করেছে।”
বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ সামনে রেখে বোলারদের নিয়ে রোটেশন নীতির প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে লিটন বলেন, “তাসকিন অনেকদিন পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছে। সবাই জানে, সে যদি টানা খেলতে থাকে তাহলে ইনজুরির ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরিফুলের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। পাকিস্তান সিরিজে সে গ্রোইনের চোট পেয়েছিল, এরপর ক্যান্ডি ও ডাম্বুলাতেও সমস্যা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “একজন খেলোয়াড় কত ম্যাচ একটানা খেলতে পারবে, সেটাও বুঝতে হবে। এখন যাদের দলে দেখা যাচ্ছে, তাদের বাইরে আরও দুই-তিনজন ভালো পেসার আছে। তাদের মধ্যে যদি কেউ ইনজুরিতে পড়ে যায়, তাহলে আমাদের যে স্বপ্ন ও পরিকল্পনা তা ব্যাহত হতে পারে।”
ফিটনেস ব্যবস্থাপনার দিকেও গুরুত্ব আরোপ করে লিটন বলেন, “প্রত্যেক খেলোয়াড় সুযোগের দাবিদার, তবে একইসঙ্গে তাদের ফিটনেসকেও গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা দরকার।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব আসরগুলো সামনে রেখে বোলারদের স্বাস্থ্য রক্ষা ও ব্যাকআপ নিশ্চিত করা এখন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর একটি। লিটনের নেতৃত্বে এই দিকটি ইতিবাচকভাবে ব্যবস্থাপনা করা হলে বাংলাদেশ দল আরও সংগঠিতভাবে মাঠে নামতে পারবে।