Saturday, June 21, 2025
Homeবিনোদনবিশ্বব্যাপী সাফল্য: ৮০০ মিলিয়ন ডলারের দ্বারপ্রান্তে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’, ৪৫০ মিলিয়ন ছুঁয়েছে...

বিশ্বব্যাপী সাফল্য: ৮০০ মিলিয়ন ডলারের দ্বারপ্রান্তে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’, ৪৫০ মিলিয়ন ছুঁয়েছে ‘মিশন ইম্পসিবল’, ভালো শুরু ‘ব্যালেরিনা’র

আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে দাপট দেখাচ্ছে হলিউডের একাধিক ছবি, নতুন তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে ‘ব্যালেরিনা’

আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পাচ্ছে একাধিক হলিউড ছবি। ডিজনির লিলো অ্যান্ড স্টিচ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের ঘরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। অন্যদিকে, মিশন ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং এর আয় ইতোমধ্যে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। একই সময়ে জন উইক সিরিজের স্পিন-অফ ব্যালেরিনা বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী সূচনা করেছে।

তৃতীয় সপ্তাহান্তে লিলো অ্যান্ড স্টিচ ছবির বৈশ্বিক আয় দাঁড়িয়েছে ৭৭২.৬ মিলিয়ন ডলার। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে ৪৩৬.৮ মিলিয়ন ডলার। ইউরোপের অধিকাংশ বাজারে এটি এখনো শীর্ষস্থানীয় বিদেশি ছবি। সম্প্রতি জাপানে মুক্তি পেয়ে প্রথম সপ্তাহেই ৪ মিলিয়ন ডলারের আয় করেছে, যা এ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্টুডিও ছবির উদ্বোধনী আয়।

লিলো অ্যান্ড স্টিচ-এর শীর্ষ পাঁচটি বাজারের মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো (৫৬.৮ মিলিয়ন ডলার), যুক্তরাজ্য (৪২.২ মিলিয়ন ডলার), ফ্রান্স (৩০.৪ মিলিয়ন ডলার), ব্রাজিল (২৮.২ মিলিয়ন ডলার) এবং জার্মানি (২৩.৭ মিলিয়ন ডলার)।

এদিকে, মিশন ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং এখন পর্যন্ত ৪৫০.৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। শুধু আন্তর্জাতিক বাজার থেকেই এসেছে ৩০১.২ মিলিয়ন ডলার। চীনে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে শীর্ষে অবস্থান করছে এই ছবি। দেশটিতে ছবির আয় ইতোমধ্যে ৪৭.৫ মিলিয়ন ডলার, যা ৬২ মিলিয়ন ডলারে গিয়ে থামবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মাওয়্যান

মিশন ইম্পসিবলের শীর্ষ পাঁচ আন্তর্জাতিক বাজারের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য (২৭.৮ মিলিয়ন ডলার), জাপান (২৩.৪ মিলিয়ন ডলার), কোরিয়া (২০.৫ মিলিয়ন ডলার) এবং ফ্রান্স (১৭.৭ মিলিয়ন ডলার)। উল্লেখযোগ্য যে, আইম্যাক্স সংস্করণে ছবিটি ৬৯.১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বোচ্চ আইম্যাক্স আয়।

এদিকে ব্যালেরিনা ছবির বিশ্বব্যাপী প্রথম সপ্তাহের আয় ৫১ মিলিয়ন ডলার। ৮২টি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে ২৬ মিলিয়ন ডলার। চীন (৩ মিলিয়ন), যুক্তরাজ্য (২.৫ মিলিয়ন) এবং মেক্সিকো (১.৯ মিলিয়ন) শীর্ষ উদ্বোধনী বাজার হিসেবে সামনে এসেছে। জাপান ও ইতালিতে ছবিটি আগামী কয়েক সপ্তাহে মুক্তি পাবে। ইতোমধ্যে এটি সিসিলির তাওরমিনা ফিল্ম ফেস্টিভাল-এ প্রদর্শিত হয়েছে।

এছাড়া সনি’র কারাতে কিড: লেজেন্ডস ৫৭টি বাজার থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার যোগ করে মোট আয় দাঁড় করিয়েছে ৭৪ মিলিয়ন ডলার। ফাইনাল ডেস্টিনেশন ব্লাডলাইন্স ৭৫টি বাজার থেকে আরও ৮.১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যার ফলে বৈশ্বিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭.২ মিলিয়ন ডলার।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হলিউডের ছবি গুলোর এমন দাপুটে উপস্থিতি প্রমাণ করছে আন্তর্জাতিক বাজার এখনো বড় মাপের সিনেমার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।

RELATED NEWS

Latest News