ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেমোরিয়াল ডে ছুটিকে ঘিরে এবার হলিউডে তৈরি হয়েছে নতুন ইতিহাস। ডিজনির Lilo & Stitch (2025) এবং প্যারামাউন্ট ও স্কাইড্যান্স প্রযোজিত ‘Mission: Impossible – The Final Reckoning’ একসাথে মুক্তি পেয়ে গড়েছে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড।
চার দিনের ছুটিতে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই আয় করেছে ১৯২.৭ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাপী মোট আয় ৩৬১.৩ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের সর্বশেষ পর্বটি মার্কিন মাটিতে আয় করেছে ৭৯ মিলিয়ন ডলার এবং বৈশ্বিকভাবে আয় ১৯১ মিলিয়ন ডলার।
‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এই আয়ে টম ক্রুজের আগের সিনেমা ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ এর ১৬০ মিলিয়ন ডলারের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। এই ছবিটি ডিজনির জন্য ২০২৪ সালের সবচেয়ে বড় হিট হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে জেন জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের দর্শকদের মাঝে নস্টালজিয়া ভরপুর প্রভাব ফেলেছে এই সিনেমা।
দর্শকদের তথ্য অনুসারে, যারা টিকিট কিনেছেন তাদের ৫৬ শতাংশই ছিলেন বাবা-মা নন। অর্থাৎ শুধুমাত্র শিশুদের জন্য নয়, বরং টিনএজার ও তরুণ প্রজন্মও ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ উপভোগ করেছেন।
অন্যদিকে, ‘মিশন ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির এই শেষ কিস্তিটি এবার সর্বোচ্চ ওপেনিং আয় এনেছে। ৩০ বছর ধরে চলা এই সিরিজের শেষ অধ্যায়ে ইম্যাক্স প্রজেকশনে বিশ্বব্যাপী ৩০.১ মিলিয়ন ডলারের আয় হয়েছে।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি, যিনি টম ক্রুজের দীর্ঘদিনের সহযোগী।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ছুটির সপ্তাহান্তে টিকিট বিক্রির যে রেকর্ড হয়েছে, তা ২০১৩ সালের ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৬’ ও ‘দ্য হ্যাঙ্গওভার পার্ট ৩’ এর আগের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।
আয় বিচারে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ হয়েছে ডিজনির তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী লাইভ-অ্যাকশন রিমেক। এর আগে ছিল ‘দ্য লায়ন কিং’ এবং ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’।
এই ছুটির শেষে হলিউড স্টুডিওগুলো উচ্ছ্বসিত। টম ক্রুজ নিজেই একটি পোস্টে বলেন, “এই সপ্তাহান্তটি ছিল ইতিহাস গড়ার জন্য। প্রতিটি কলাকুশলী, নির্মাতা ও দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
এদিকে প্যারামাউন্টের বিতরণ প্রধান ক্রিস অ্যারনসন বলেন, “এটি ৩০ বছরের পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজির অষ্টম কিস্তির জন্য অভূতপূর্ব সাফল্য।”
তবে উল্লেখযোগ্য যে, ‘মিশন ইম্পসিবল: ফাইনাল রেকনিং’ এর নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, যা সিনেমা ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল।
অন্যদিকে, ‘Lilo & Stitch’ নির্মাণে খরচ হয়েছে ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং এটি ইতোমধ্যে ডিজনিকে এই বছরের প্রথম স্টুডিও হিসেবে ২ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে নিয়ে গেছে।
এ দুই সিনেমার সাফল্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, বৈচিত্র্যপূর্ণ কনটেন্ট এবং নস্টালজিয়া দর্শকদের হলে ফেরাতে পারে ব্যাপকভাবে।
বিনোদন প্রতিবেদক, হলিউড ডেস্ক