স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিডি) ১৫ জন কর্মকর্তা দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ সফরে অংশ নিচ্ছেন। এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) ফেলোশিপ প্রোগ্রামের অধীনে আয়োজিত হচ্ছে।
২২ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সেজংয়ে অবস্থিত কেডিআই স্কুল অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে “Capacity Building on the Strengthening of the Municipality for Mayors, Staff and Officers of the LGD in Bangladesh” শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ চলছে।
কোইকা জানিয়েছে, ২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত এলজিডি এবং দেশের বিভিন্ন পৌরসভার কর্মকর্তাদের জন্য এই প্রশিক্ষণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবারের ব্যাচে স্থানীয় সরকার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন পৌরসভার প্রতিনিধি রয়েছেন।
প্রশিক্ষণসূচিতে রয়েছে স্থানীয় শাসন, নগর পরিকল্পনা, স্মার্ট সিটি উন্নয়ন, অবকাঠামো নীতি ও টেকসই আঞ্চলিক উন্নয়ন বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সফল অভিজ্ঞতার ওপর লেকচার, সেমিনার, স্টাডি ভিজিট এবং অ্যাকশন প্ল্যান উন্নয়ন কার্যক্রম।
কোরিয়া ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, কোরিয়া ল্যান্ড অ্যান্ড হাউজিং করপোরেশন, সেজং সিটি হল ও ডিজিটাল গভর্নমেন্ট এক্সহিবিট হলে অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা তাদের নিজ নিজ দেশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চ্যালেঞ্জ ও অগ্রাধিকারের ওপর ভিত্তি করে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করবেন। এই পরিকল্পনাগুলো দেশে ফিরে বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই উপলক্ষে কোইকার বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম তায়েয়োং অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত। তাদের অর্জিত জ্ঞান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
কোইকার ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম জুনসু বলেন, “আমরা অংশগ্রহণকারীদের সফল প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। কোইকা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কোইকা জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
