আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা প্রধানের উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সিভিল সোসাইটির সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।”
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “পূর্বের নির্বাচনে সাংবাদিকরা নানা হয়রানির মুখে পড়েছিলেন। এবার সেই পরিস্থিতি থাকবে না। সকল সাংবাদিক নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনী আচরণবিধি বরাবরের মতো কার্যকর থাকবে এবং সাংবাদিকদের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে একজন নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে। কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে দ্রুত সমাধান করা হবে।”
সরকার পক্ষপাতদুষ্ট নয় উল্লেখ করে উপ-প্রেস সচিব বলেন, “প্রশাসন এবার নিরপেক্ষ থাকবে। সাংবাদিকদের হয়রানি করা হবে না এবং কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা চাপ সৃষ্টি করা হলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
তিনি বলেন, “গণমাধ্যমে স্বাধীনতা বাড়ছে। গত এক বছরে বিশ্ব প্রেস স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬ ধাপ উন্নত হয়েছে। গত পাঁচ বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব মামলা হয়েছিল, তা এখন বন্ধ করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “সাইবার নিরাপত্তা আইন, যা মূলত পুরনো আইনেরই নতুন রূপ ছিল, সেটিও বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলো তুলে নেয়া হয়েছে। কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়া সংবাদমাধ্যম আবার চালু হয়েছে এবং কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে ফিরছে।”
তিনি আশ্বাস দেন, “নতুন করে কোনো মিডিয়া হাউস বন্ধ হয়নি। বরং সাংবাদিকদের কাজের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা নেই।”