দেশে সবচেয়ে বড় এমডিএমএ (MDMA) জব্দের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর পল্টন এলাকায় ডিরেক্টরেট অব নারকোটিক্স কন্ট্রোল (ডিএনসি) একটি পার্টি ড্রাগ পাচার চক্র ধ্বংস করেছে।
ডিএনসি মহাপরিচালক হাসান মারুফ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, শনিবার রাতের অভিযানের মাধ্যমে পল্টন এলাকার পুরাতন ডাকঘরের বিদেশি মেল বিভাগে যুক্তরাজ্য থেকে আসা একটি এয়ার পার্সেল তল্লাশি করা হয়। ওই পার্সেলে ৩১৭টি এমডিএমএ ট্যাবলেট ব্র্যান্ডেড চকোলেট প্যাকেটে রাখা ছিল।
এর পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় ১.৬৭৬ কেজি কুশ, ২৫০ গ্রাম মারিজুয়ানা, ৫০ মিলিলিটার কেটামিন, ৭.১১ লাখ টাকা নগদ, ছয়টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ। মহাপরিচালক জানিয়েছেন, এটি দেশে এখন পর্যন্ত জব্দকৃত সবচেয়ে বড় এমডিএমএ।
সমন্বিত অভিযান চলাকালে মোহাম্মদপুর, সেগুনবাগিচা ও পল্টন এলাকায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন:
মোঃ জুবায়ের, ২৮
প্রতীৎ শামস, ২৫
আসিফ মাহবুব চৌধুরী, ২৭
অপর্ব রায়, ২৫
সৈয়দ শায়ান আহমেদ, ২৪
গ্রেফতারদের সবাইকে ২০১৮ সালের নারকোটিক্স কন্ট্রোল আইন অনুযায়ী মামলার মুখোমুখি করা হয়েছে।
ডিএনসি জানায়, জুবায়ের দীর্ঘ সময় ধরে এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। ইউকে থেকে তার সহযোগী অরন্যা এই কনসাইনমেন্ট পাঠায় অপর্বের মাধ্যমে প্রতীতের কাছে হস্তান্তরের জন্য। প্রতীৎ একজন পেশাদার ডিস্ক জকী ছিলেন, যিনি পার্টিতে এমডিএমএ সরবরাহ করতেন।
এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন ডিএনসির উত্তরা সার্কেল এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ইন্সপেক্টর দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। ডেপুটি ডিরেক্টর শামিম আহমেদ ও মোঃ মেহেদী হাসানের তত্ত্বাবধানে অভিযান সম্পন্ন হয়।
ডিএনসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমডিএমএ একটি সাইকোঅ্যাকটিভ ড্রাগ যা ব্যবহারকারীর মধ্যে উত্তেজনা, আনন্দ ও সামাজিক আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। পার্টিতে আলো এবং সঙ্গীতের অনুভূতি তীব্রভাবে বাড়ায়, যা এটিকে জনপ্রিয় করে তোলে।