অস্ট্রিয়ান গ্র্যান্ড পিক্স কোয়ালিফাইং রাউন্ডে শেষ মুহূর্তের দুর্দান্ত ল্যাপে পোল পজিশন নিশ্চিত করলেন ম্যাকলারেনের ল্যান্ডো নরিস। এই ফলাফলের মাধ্যমে রেড বুল রিংয়ে গত পাঁচ কোয়ালিফাইং-এ আধিপত্য ধরে রাখা ম্যাক্স ফেরস্টাপেনকে ছাপিয়ে গেলেন ব্রিটিশ তারকা।
২৫ বছর বয়সী নরিস ১ মিনিট ৩.৯৭১ সেকেন্ড সময়ে তার ফাইনাল ল্যাপ সম্পন্ন করেন। দ্বিতীয় হন ফেরারির চার্লস লেক্লার্ক, যিনি নরিসের থেকে ০.৫২১ সেকেন্ড পিছিয়ে ছিলেন। তৃতীয় স্থান দখল করেন নরিসের টিমমেট এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়নশিপ লিডার অস্কার পিয়াস্ট্রি।
কানাডায় পিয়াস্ট্রির সঙ্গে সংঘর্ষের পর এই দুর্দান্ত ফলাফলের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করলেন নরিস। তিনি বলেন, “এটা নিঃসন্দেহে ভালো একটি ল্যাপ ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমি গতি বের করতে পেরেছি।”
রেড বুল ড্রাইভার ম্যাক্স ফেরস্টাপেন সপ্তম স্থানে থেকে কোয়ালিফাইং শেষ করেন। পিয়াস্ট্রি এবং ফেরস্টাপেন দু’জনই পিয়ের গ্যাসলির ঘূর্ণনে তৈরি ইয়েলো ফ্ল্যাগের কারণে শেষ ল্যাপে গতি তুলতে ব্যর্থ হন।
ফেরস্টাপেন বলেন, “গাড়ির ফিলিং মোটেই ভালো ছিল না। কোয়ালিফাইংয়ে আমরা পুরোপুরি সমস্যায় পড়েছিলাম। ম্যাকলারেন আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। আশা করি রেসে অন্তত ফেরারি বা মার্সেডেসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব।”
ফেরারির লেক্লার্ক বলেন, “অনেক দিন পর আবার প্রথম সারিতে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। নতুন কিছু যন্ত্রাংশ এই সপ্তাহে যুক্ত হওয়ায় ভালো ফল পেয়েছি। আশা করি রেসে ম্যাকলারেনদের চাপ দিতে পারব।”
মার্সেডেসের লুইস হ্যামিলটন চতুর্থ এবং তার সতীর্থ জর্জ রাসেল পঞ্চম স্থান অর্জন করেন। রেসিং বুলসের লিয়াম লসন, রেড বুলের ফেরস্টাপেন এবং সাউবারের গ্যাব্রিয়েল বোরতোলেটো যথাক্রমে ছয় থেকে আট নম্বরে ছিলেন।
দ্বিতীয় মার্সেডেস গাড়িতে কিমি আন্তোনেলি নবম ও গ্যাসলি দশম স্থান অর্জন করেন। প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়েন ল্যান্স স্ট্রোল, এস্টেবান ওকন, ইউকি সুনোদা, কার্লোস সাইনজ এবং নিকো হুলকেনবার্গ।
দ্বিতীয় রাউন্ডে মাঠে আগুন লাগার কারণে লাল পতাকা দেখানো হয়। সেখানে আবার নরিস নিজের আধিপত্য বজায় রাখেন।
তৃতীয় রাউন্ডে শুরুতেই রাসেল একটি ফেরারিকে ধাক্কা দিতে যাচ্ছিলেন, তবে শেষ মুহূর্তে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
অবশেষে চূড়ান্ত রাউন্ডে নরিস লেক্লার্ক ও পিয়াস্ট্রিকে পেছনে ফেলে পোল নিশ্চিত করেন। অস্ট্রিয়ান গ্র্যান্ড পিক্স-এর এই নাটকীয় কোয়ালিফাইং রেস আগামী দিনের মূল প্রতিযোগিতার জন্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিল।
