প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫, ১:৪৪ এএম
সিলেট প্রতিবেদক
সিলেটের সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কুইগা নদীর ওপর এখনো পর্যন্ত একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাঁশের তৈরি অস্থায়ী সাঁকুর ওপর দিয়েই প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, শিশু ও সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে বারবার প্রশাসনের কাছে সেতুর দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, গোটা এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার মানুষ এই পথে যাতায়াত করে। পাকা রাস্তা না থাকায় ও নদী পারাপারের জন্য ব্রিজ না থাকায় ২ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। এতে সময় ও শ্রম দুটোই অপচয় হচ্ছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা বহুবার লিখিত ও মৌখিকভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বারবার। কিন্তু আজও সেই বাঁশের সাঁকুতেই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছি।”
স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন। একজন মা বলেন, “আমার ছোট সন্তান সাঁকু পেরিয়ে স্কুলে যায়। প্রতিদিন দুশ্চিন্তায় থাকি যদি কখনো পড়ে যায়।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হলেও বাস্তবতার সঙ্গে এই উন্নয়নের কোনো মিল নেই। বাঁশের সাঁকু দিয়ে চলাচল করে তাদের জীবন মানের কতটা উন্নয়ন হয়েছে তা প্রশ্নের বিষয়।
স্থানীয় বাজার, স্কুল, মাদ্রাসা, চিকিৎসাকেন্দ্র সবকিছুর সংযোগ এই ব্রিজের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সেতু না থাকায় জনগণের ন্যূনতম চলাচলেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, দ্রুত কুইগা নদীর উপর একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করা হোক যাতে তারা স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারেন এবং শিশুদের শিক্ষাজীবন নিরাপদ হয়।
সিলেটের শাহজালাল উপশহর সংলগ্ন এই এলাকাটি ইতোমধ্যেই জনবহুল হয়ে উঠেছে। এখন সময় এসেছে কথার আশ্বাস নয়, বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেতু নির্মাণের দাবি যেন আর দাফন না হয় কোনো দাপ্তরিক ফাইলে।