ক্রেমলিন মঙ্গলবার বলেছে যে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের সামনের সারিতে যেসব যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই হচ্ছে সেখানে বারবার বিদেশি ভাষা শোনা যাচ্ছে এবং এমন লড়াকু বাহিনী “নষ্ট” করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সামরিকরা বিদেশি ভাষা শোনে, তারা সামনে নিয়মিত বিদেশি ভাষা শুনছে। তিনি আরো বলেন, “তাই ওই বিদেশিরা সেখানে আছে, আমরা তাদের ধ্বংস করছি। আমাদের সামরিকবাহিনী তাদের কাজ চালিয়ে যাবে।” এই মন্তব্যে রাশিয়ার কড়া সতর্কবার্তা স্পষ্ট হয়েছে।
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে ন্যাটো বা পশ্চিমা দেশের সামরিক কর্মীরা ইউক্রেনে উপস্থিত রয়েছেন এবং তাদের ইভিসড্রপিং সার্ভিস ফ্রন্টলাইনে ইংরেজি ও ফরাসি শোনা গেছে বলে রিপোর্ট করেছে। ন্যাটো জোট জানিয়েছে তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করে তবে সৈন্য মোতায়েন করেনি। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু গোয়েন্দা সংস্থার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
ক্রেমলিনের কঠোর মন্তব্যটি এমন মুহূর্তে এসেছে যখন পলিটিক্যাল ও কূটনৈতিক স্তরে বিদেশি সামরিক সহায়তা এবং সম্ভাব্য শান্তি বাহিনী পাঠানো নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনা চলছে। গত কয়েক মাসে পশ্চিমা নেতারা বিভিন্নভাবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্ভাব্য ভূমিকার কথা বিবেচনা করেছেন। রুশ নেতারা আগেও জানিয়েছিলেন যে যদি বিদেশি সেনা ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয় তাহলে সেগুলোকে বৈধ লক্ষ্য হিসেবে গণ্য করা হবে।
এমন বিবৃতির প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং যুদ্ধবস্তুর পৃথক তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। কূটনৈতিক জবাবদিহি এবং আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে বিতর্ক চলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
