উইম্বলডনের এবারের আসরে রোমাঞ্চকর নাটকীয়তার ধারাবাহিকতায় আরও একটি বড় বিস্ময়ের জন্ম দিলেন মার্কিন টেনিস খেলোয়াড় এমা নাভারো। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেক প্রজাতন্ত্রের বারবোরা ক্রেইচিকোভাকে ২-৬, ৬-৩, ৬-৪ সেটে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে গেলেন এই দশম বাছাই।
ম্যাচ শেষে কোর্টে কান্নায় ভেঙে পড়েন ২৯ বছর বয়সী ক্রেইচিকোভা। শেষ সেটে চোটের কারণে স্পষ্ট অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তিনি। চলতি টুর্নামেন্টে এর আগেই শীর্ষ ছয় বাছাই খেলোয়াড়দের মধ্যে পাঁচজন বিদায় নিয়েছেন। এই হারে সেই তালিকায় যুক্ত হল আরেকটি বড় নাম।
ক্রেইচিকোভা এর আগেই চোটের কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় কোর্টের বাইরে ছিলেন। মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলে উইম্বলডনে নামেন তিনি। গত বছর উইম্বলডন ফাইনালে ইতালির জ্যাসমিন পাউলিনিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন এই চেক তারকা। কিন্তু এবার চোটের ধকল আর নিতে পারলেন না।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ক্রেইচিকোভার জন্য দারুণ ছিল। প্রথম সেট ৬-২ ব্যবধানে জিতে এগিয়ে যান। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে ছন্দ হারান এবং নাভারো সুযোগ নিয়ে সেট জিতে ম্যাচে সমতা ফেরান।
তৃতীয় সেটে শারীরিক সমস্যায় পড়েন ক্রেইচিকোভা। চোটের কারণে মেডিকেল টাইম-আউট নিতে হয়। ব্লাড প্রেশারও মাপা হয় তাঁর। একাধিকবার ব্রেক পয়েন্টে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর নিজের সার্ভ হারিয়ে বসেন এবং নাভারো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন।
শেষ দিকে আবারও ব্রেক ফিরে পেয়েছিলেন ক্রেইচিকোভা, কিন্তু তা বেশিক্ষণ টিকল না। নাভারো দ্রুত ফের ব্রেক করে এগিয়ে যান এবং ম্যাচ শেষ করেন নিজের সার্ভে। ম্যাচ শেষে ভাঙা মনে কোর্ট ছাড়েন বারবোরা ক্রেইচিকোভা।
নাভারো বলেন, “আজকের ম্যাচটা কঠিন ছিল। আমরা কেউই সেরা টেনিস খেলিনি। সে চোটে ভুগছিল, আমিও কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলাম। তবে সে দুর্দান্ত খেলোয়াড়, তাই চ্যালেঞ্জটা সহজ ছিল না।”
এই জয়ের ফলে নাভারো এখন উইম্বলডনের নারীদের একক বিভাগে অন্যতম শক্তিশালী দাবিদার হয়ে উঠেছেন। আর বারবোরা ক্রেইচিকোভার শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন শেষ হয়েছে চোখের জলে।