ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ১২:৩৭
বিনোদন ডেস্ক
২০১৬ সালে প্যারিসের একটি বিলাসবহুল হোটেলে ভয়াবহ ডাকাতির শিকার হয়েছিলেন মার্কিন তারকা ও উদ্যোক্তা কিম কারদাশিয়ান। সেই আলোচিত ঘটনার বিচার শুরু হয়েছে ফ্রান্সের আদালতে, যেখানে কিম নিজেই সাক্ষ্য দেবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।
তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, কিম “সাহস ও মর্যাদার সঙ্গে এই মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।”
ঘটনার সময় কিমের ব্যক্তিগত স্টাইলিস্ট সিমোন হারুশও হোটেলেই ছিলেন। আদালতে তিনি জানান, “আমি ভেবেছিলাম কিমকে হয়তো ধর্ষণ করা হচ্ছে।” হারুশ বলেন, তিনি যখন কিমের চিৎকার শুনতে পান, তখন ঘুমাচ্ছিলেন। কিম তখন চিৎকার করছিলেন, ‘আমার বাচ্চারা আছে, আমি বাঁচতে চাই।’
ডাকাতেরা পুলিশ পরিচয়ে হোটেলে ঢুকে কিমকে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে প্রায় ১২১ কোটি টাকার গয়না লুটে নেয়। পরে কিমকে বেঁধে রাখা হয় এবং তিনি মানসিকভাবে ভয়ানক অবস্থায় পড়ে যান। একপর্যায়ে তিনি জানালার বাইরে লাফ দেওয়ার কথা পর্যন্ত বলেন।
২০১৭ সালে এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে ফরাসি পুলিশ। এদের বেশিরভাগের বয়স ছিল ষাটের কোঠায়, যাদের ‘গ্র্যান্ডপা রবার্স’ নামে অভিহিত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ৭১ বছর বয়সী ইউনিস আব্বাস পরে বইও লেখেন— ‘আমি কিম কারদাশিয়ানকে অপহরণ করেছি’, যা আদালতে তাঁর বিপক্ষে ব্যবহার হচ্ছে।
ডাকাতির সময় লুট হওয়া বেশির ভাগ গয়নাগাটি এখনো উদ্ধার হয়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান ছিল ৩৫ লাখ ইউরো মূল্যের ১৮.৮ ক্যারেটের এনগেজমেন্ট রিং, যা কণ্ঠশিল্পী কানিয়ে ওয়েস্ট কিমকে দিয়েছিলেন।
আদালতের এই শুনানিতে কিম কারদাশিয়ানের উপস্থিতি বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁর সাহসী অবস্থান কেবল আইনি প্রক্রিয়ায় নয়, বরং সামাজিকভাবে নারীর নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়েও নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।