আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর খেলাফত মজলিস এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মাওলানা জালালউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছেন। এমন নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছেন, যা শিশুদেরও রেহাই দেয়নি। এখন জনগণ তার বিচারের দাবি জানাচ্ছে।”
তিনি জানান, গত ১৬ বছর ধরে খেলাফত মজলিস গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আন্দোলনেও সামনে থেকে অংশ নিয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
মাওলানা জালালউদ্দিন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিস্ট শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিতে পারে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “গোপালগঞ্জসহ কোথাও আওয়ামী লীগকে জমি গুড়তে দেওয়া হবে না। কেউ সরকারের ছায়ায় তাদের সহায়তা করলে, তাকেও রেহাই দেওয়া হবে না।”
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি জাতিসংঘের ঢাকা অফিস স্থাপনেরও বিরোধিতা করেন এবং প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভে যুব মজলিস ও ছাত্র মজলিসসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক উত্তাপ ও মেরুকরণ ততই তীব্র হচ্ছে। তবে গণতান্ত্রিক পরিসরে সকলেরই মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে।