ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি মধ্যপ্রাচ্যে তার নীতি পরিবর্তন না করে, বিশেষ করে ইসরায়েলকে সমর্থন বন্ধ না করে, তাহলে তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো সহযোগিতা বিবেচনা করবে না।
সোমবার তেহরানে শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে তিনি বলেন, “যদি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলি শাসনকে সমর্থন ত্যাগ করে, তাদের সামরিক ঘাঁটি গুটিয়ে নেয় এবং এই অঞ্চলে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে, তবেই সহযোগিতা বিবেচনা করা যেতে পারে।”
খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের অহংকারী চরিত্র আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই মেনে নেয় না।”
এই বক্তব্যটি আসে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্রের তেহরান দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।
চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি ইসরায়েল ইরানের ওপর নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়, যা দ্রুতই এক সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের রূপ নেয়। এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও সাময়িকভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
১২ দিনের ওই যুদ্ধের পর ২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। সংঘাতের কারণে তেহরান ও ওয়াশিংটনের পারমাণবিক আলোচনাও স্থগিত হয়।
খামেনি বলেন, “যখন দেশ শক্তিশালী হবে এবং শত্রু বুঝবে যে, সংঘাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি, তখন দেশ নিরাপদ হবে।”
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর থেকে ইরান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর জাতিসংঘও “স্ন্যাপব্যাক” প্রক্রিয়ার আওতায় ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা শুরু করে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি।
রবিবার কাতারভিত্তিক আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, তেহরান এখনো ওয়াশিংটনের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনায় রাজি, তবে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে নয়।
তিনি বলেন, “যখন যুক্তরাষ্ট্র সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত হবে, তখনই আলোচনা শুরু হতে পারে। তারা তাড়াহুড়ায় নেই, আমরাও না।”
