ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : বাংলাদেশের জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের স্কোয়াডে মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ডাকা হয়েছে ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদকে। সাধারণত লাল বলের ক্রিকেটে পরিচিত হলেও, সাম্প্রতিক বিপিএলে খালেদের পারফরম্যান্স তাকে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম কিংসের হয়ে এবারের বিপিএলে খালেদের বোলিং ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও তিনি কোনো ইনিংসে পাঁচ বা ছয় উইকেট নেননি, তবুও তার ইমপ্যাক্ট বোলিং দলের পারফরম্যান্সে বড় ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে গুড লেন্থে ধারাবাহিকভাবে বল করে ব্যাটারদের বিপাকে ফেলেছেন তিনি।
একটি ম্যাচে সাইফ হাসানকে আউট করার বলটি ছিল চোখে পড়ার মতো। খালেদের বলটি নিখুঁত লেন্থে করা হয়েছিল, যা ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করে। সেই বল এবং পুরো বিপিএলের পারফরম্যান্সে বোঝা যায়, তিনি শুধু উইকেট তোলার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
বিপিএলে পাওয়ার প্লেতে খালেদ বল করেছেন ১৪ ওভার, দিয়েছেন ৯১ রান এবং পেয়েছেন ৫ উইকেট। এই সময়ে তার ইকোনমি রেট ছিল ৬.৫০। মাঝের ওভারগুলোতে (৭-১৫) ১৩ ম্যাচে পেয়েছেন ১১ উইকেট, ইকোনমি ছিল ৭.৮৩। এই পরিসংখ্যান স্পষ্টভাবে দেখায়, খালেদ নিয়মিতভাবে ব্যাটারদের ব্যতিব্যস্ত করেছেন।
কমেন্টেটর এবং বিশ্লেষকদের মতে, খালেদ আহমেদের সবচেয়ে বড় উন্নতি হয়েছে তার লেন্থ ম্যানেজমেন্টে। আগে যেখানে তিনি ব্যাক-অব-দ্যা-লেন্থ বা ফুল লেন্থে বল করতেন, এবার তিনি গুড লেন্থে ধারাবাহিকতা আনতে সক্ষম হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সোনি টেটের মত বিদেশি বোলিং কোচদের প্রভাব খালেদের উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে। এমনকি রাতে ডিউয়ের প্রভাব থাকা ম্যাচেও খালেদ দক্ষতা দেখিয়েছেন, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব মিলিয়ে, অনেকের প্রশ্ন থাকলেও বর্তমানে যে বোলাররা সার্কিটে আছেন, তাদের মধ্যে খালেদ আহমেদকেই উপযুক্ত রিপ্লেসমেন্ট মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও গুড লেন্থে ধারাবাহিকতা তাকে টি-টোয়েন্টি দলে অন্তর্ভুক্তির যোগ্য করেছে।