ভারতে ২০২৫ Kawasaki Ninja 300 লঞ্চ করেছে কোম্পানি। দাম রাখা হয়েছে ৩.৪৩ লাখ রুপি (এক্স-শোরুম)। লক্ষ্য স্পষ্ট—এন্ট্রি-লেভেল স্পোর্টস বাইকারদের টার্গেট করা।
দেখলে মনে হতে পারে, আগের মডেলই।
তবে কিছু ছোটখাটো আপডেট আছে। বড় উইন্ডস্ক্রিন এসেছে, যা হাইওয়েতে একটু ভালো অ্যারোডাইনামিক্স দিতে পারে। হেডল্যাম্প হয়েছে প্রজেক্টর টাইপ—রাতের ভিজিবিলিটি বাড়ানোর জন্য ভালো সিদ্ধান্ত। টায়ারগুলোও বদলেছে, যেটা একটু ভালো গ্রিপ দিতে পারে।
এই পর্যন্তই।
এর বাইরে সব আগের মতো। ২৯৬ সিসির লিকুইড-কুল্ড প্যারালাল-টুইন ইঞ্জিন। ৩৮.৯ বিএইচপি পাওয়ার, ২৬.১ এনএম টর্ক। ৬-স্পিড গিয়ারবক্স।
প্রশ্নটা হচ্ছে, এগুলো কি যথেষ্ট?
অনেকে বলছেন, না।
এই বাইক অনেক বছর ধরেই একই রকম চলছে। তবু কাওয়াসাকি হয়তো সময় নিচ্ছে, বা হয়তো খুব বেশি ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
তিনটা নতুন রঙ এসেছে: লাইম গ্রিন, ক্যান্ডি লাইম গ্রিন আর মেটালিক মুনডাস্ট গ্রে। সঙ্গে নতুন গ্রাফিক্স। বাইকটাকে একটু তরতাজা লাগছে।
তবু, ফ্রেমটা সেই পুরোনো।
কিছু রাইডার খুশি হবেন। বাইকটা এখনও নির্ভরযোগ্য। মসৃণ পারফরম্যান্স দেয়। যারা নতুন শুরু করতে চান, তাদের জন্য এটা এখনও সলিড অপশন।
কিন্তু সবাই কি সেটাই খোঁজেন?
নিনজা ৫০০ বলা যায় — আরও আধুনিক, আরও পাওয়ারফুল। কিন্তু দাম ৫.২৯ লাখ রুপি। অনেকটাই বেশি। মাঝামাঝি দামি স্পোর্টস বাইকের জন্য তাই একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
অনেকে বলছেন, এপ্রিলিয়া আরএস ৪৫৭ ইতোমধ্যেই সেই জায়গায় ঢুকে গেছে।
আশ্চর্যজনকভাবে, কাওয়াসাকি এর আগের সপ্তাহে ভারতে লঞ্চ করেছিল ভার্সিস-এক্স ৩০০। একই ইঞ্জিন, প্রায় একই স্পেসিফিকেশন। তবে সেটা অ্যাডভেঞ্চার ক্যাটাগরির বাইক।
এটা কি কাওয়াসাকির খরচ বাঁচানোর কৌশল? নাকি পরিকল্পনার ঘাটতি?
ভার্সিস-এক্স ৩০০ তে আছে টুইন ডিস ব্রেক: সামনে ২৯০ মিমি, পেছনে ২২০ মিমি, সঙ্গে ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস। সাসপেনশন হচ্ছে ৩৭ মিমি টেলিস্কোপিক ফর্ক (১২০ মিমি ট্র্যাভেল), আর পেছনে গ্যাস-চার্জড ইউনিট্র্যাক মনোশক।
নিনজা ৩০০ এর দৈর্ঘ্য ২০১৫ মিমি, প্রস্থ ৭১৫ মিমি, উচ্চতা ১১১০ মিমি। হুইলবেস ১৪০৫ মিমি। কের্ব ওজন ১৭৯ কেজি। ফুয়েল ট্যাঙ্ক ধারণক্ষমতা ১৭ লিটার। সিট হাইট ৭৮০ মিমি, যা বেশিরভাগ রাইডারের জন্য সুবিধাজনক।
সবই আগের মতো।
সংখ্যাগুলো খারাপ না। কিন্তু নতুনও না।
সেগুলোই চোখে পড়ে বেশি।
যখন বাজারে প্রতিযোগীরা দ্রুত আপডেট নিয়ে আসছে, তখন নিঞ্জা ৩০০ যেন স্থির হয়ে আছে। অনেকের কাছে এটা নিরাপত্তার অনুভূতি তৈরি করে। আবার কারো কাছে এটা পুরনো হওয়ার লক্ষণ।
আপনি যদি ২০২৫ সালে ৩.৪৩ লাখ রুপি খরচ করতে চান—তাহলে নিজেই ভেবে দেখুন।
এই বাইকে কোনো নাটকীয় পরিবর্তন নেই। ইঞ্জিন যেমন ছিল, তেমনই আছে।
আপনি যা পাচ্ছেন, সেটা এক পুরনো অভিজ্ঞতা—নতুন পেইন্ট দিয়ে মোড়ানো।
এটা হয়তো এখনকার জন্য ঠিক আছে।
কিন্তু কতদিন চলবে? কে জানে?
