ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “যারা গণহত্যা করেছে, তাদের বিচার এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।”
শনিবার বগুরার পর্যটন মোটেলে ‘জুলাই শহীদ পরিবারদের’ সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা বিচার শুরু করব এই বাংলার মাটিতেই। আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ। এই অন্যায়ের বিচার আমাদের করতে হবে। যারা ক্ষমতায় আসুক না কেন, বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না। বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনাদের পরিবারের ক্ষতি কোনো কিছুর বিনিময়ে পূরণ করা যাবে না। তারা দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন। মানুষের মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছেন। ফেরাউন চিরকাল টিকে থাকেনি, তেমনই আজকের ফেরাউনও পতনের মুখে।”
নাহিদ জানান, “এই বার্তাকে ছড়িয়ে দিতে আমরা এনসিপি গঠন করেছি। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে চাই, যেটার জন্য শহীদরা প্রাণ দিয়েছেন। স্বৈরতন্ত্রহীন একটি স্বাধীন বাংলাদেশ।”
তিনি শহীদ পরিবারের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের সম্পর্ক রাজনীতির বাইরে গিয়েও আপনাদের সঙ্গে স্থায়ী হবে। নানা কারণেই আমরা কিছুটা দেরি করেছি, কিন্তু আজীবন আপনাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
তিনি দাবি করেন, এনসিপির ডাকে দেশজুড়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। তারা শহীদ হয়েছে দেশের স্বাধীনতার জন্য।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলনের বিচার হয়তো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, কিন্তু তা এখনই শুরু করতে হবে। এর জন্য একটি রোডম্যাপ থাকতে হবে। শহীদ ও আহতদের পরিবারকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা দিতে হবে রাষ্ট্রকে।”
তিনি ২০১৪, ২০১৮ কিংবা ২০২৪ সালের মতো কোনো নির্বাচন আর মেনে নেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন।
তার ভাষায়, “জুলাই ঘোষণা একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে রূপ নেবে। এতে শহীদ ও তাদের পরিবারের কথা থাকবে, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলোর দিকনির্দেশনা থাকবে এবং তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
তিনি বলেন, “এই দুই দাবিকে সামনে রেখে আমরা দেশজুড়ে অগ্রসর হচ্ছি।”