তিন দশকের বেশি সময় পরেও ‘জুরাসিক পার্ক’ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত রয়েছেন কিংবদন্তি নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গ। সপ্তম কিস্তি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’-এর গল্প গঠনে সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ছবির প্রিমিয়ারে পরিচালক গ্যারেথ এডওয়ার্ডস জানান, “স্পিলবার্গ শুরু থেকেই ছবির গল্প নির্মাণে যুক্ত ছিলেন। তিনি এবং লেখক ডেভিড কোয়েপ একসঙ্গে পুরো প্লট গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনিই আমাকে বলেন, ‘গ্যারেথ, এখন তোমার সিনেমা তুমি বানাও।’ সেই মুহূর্তটা আমার জন্য সম্মানের, আবার চাপে ফেলার মতোও।”
নতুন ছবিটি আগের কিস্তি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ডমিনিয়ন’-এর পাঁচ বছর পরের কাহিনি নিয়ে এগিয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন স্কারলেট জোহানসন, জোনাথন বেইলি ও মাহারশালা আলি। গল্পে দেখা যাবে একটি উদ্ধারকারী দলকে, যারা মূল জুরাসিক পার্কের ভয়ংকর এক দ্বীপ গবেষণা কেন্দ্রে অভিযান চালায়।
পরিচালক এডওয়ার্ডস বলেন, “শুটিং চলাকালীন জানতাম, স্পিলবার্গ প্রতিটি দৃশ্য দেখছেন। ব্যাপারটা ভীষণ ভয় ধরানো। তবে যখন তিনি একটা ছোট্ট প্রশংসামূলক মেসেজ পাঠান, আমরা সবাই সেটি পড়ে উল্লাসে মেতে উঠি। কেউ হাততালি দেয়, কেউ জড়িয়ে ধরে। এই অনুভূতি আলাদা।”
অভিনেতা রুপার্ট ফ্রেন্ড বলেন, “এই ছবির টোন মূলত প্রথম জুরাসিক পার্কের মতো। আমরা ৩৫ মিলিমিটারে শুট করেছি। পরিচালক গ্যারেথ স্পিলবার্গের প্রায় সব কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কাজ করেছেন। এ যেন তার প্রতি এক ভালোবাসার বার্তা।”
নতুন কিস্তির নামকরণ করা হয়েছে ‘রিবার্থ’, যার মাধ্যমে ইঙ্গিত করা হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে একটি নতুন ধারায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। ছবিটির শুটিং হয়েছে স্পিলবার্গের মূল কাজের ভিজ্যুয়াল ও আবহের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।
চিত্রনাট্য, সংগীত, ক্যামেরা ও স্টান্টসহ নির্মাণের প্রতিটি দিকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন স্পিলবার্গ। ছবির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’ মুক্তি পাচ্ছে ২ জুলাই। হলিউড বিশ্লেষকরা বলছেন, ছবিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নতুন প্রাণ দেবে এবং পুরনো দর্শকদের nostalgically আকর্ষণ করবে।