ডেপ্রবা ডেস্ক; ঢাকা, ১লা জুন ২০২৫: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে স্মারক সংগ্রহ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’। শনিবার কক্সবাজারের পেকুয়ায় শহীদ ওয়াসিম আকরামের পরিবারের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ওয়াসিম আকরামের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে উপদেষ্টা ফারুকী শহীদের বাবা-মায়ের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান, দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন এবং শহীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র গ্রহণ করেন।
এ সময় জাদুঘরের প্রধান কিউরেটর তানজিম ওয়াহাবের নেতৃত্বে একটি ভিজ্যুয়াল দল ঘরের প্রতিটি কোণ ঘুরে শহীদের অনুপস্থিতির শূন্যতা ধারণ করে ডকুমেন্টেশন করে। দলে ছিলেন হাসান ইনাম ও মোশফিকুর রহমান জোহান। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদ পরিবারের বেদনা এবং শূন্যতা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে তুলে ধরাই তাদের উদ্দেশ্য।
এই স্মারক সংগ্রহের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের ব্যক্তিগত স্মৃতি সংরক্ষণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো। আগামীকাল রোববার উপদেষ্টা ফারুকী শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত, শহীদ ওমর ফারুক ও শহীদ শহীদুলের পরিবারের কাছে যাবেন এবং তাদের স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ করবেন।
জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের আর্কাইভ ও কালেকশন টিম দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্দোলনের স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ করবে। আন্দোলনের ছবি, ভিডিও, চিঠি, ব্যানারসহ বিভিন্ন উপকরণ জাদুঘরে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বিজ্ঞাপন নির্মিত হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রচারিত হবে।
একই দিনে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত জুলাই গণঅভ্যুত্থান শাখার উদ্যোগে কক্সবাজারের পেকুয়ায় আন্দোলনে আহতদের জন্য বরাদ্দকৃত চেক বিতরণ করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
এই কার্যক্রম শুধু স্মৃতি রক্ষার নয়, বরং একটি জাতীয় অভিজ্ঞতাকে নথিভুক্ত করার প্রথম ধাপ বলেই বিবেচিত হচ্ছে।