রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি এবং ‘৩৬ জুলাই’ উদ্যাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সমন্বয়ে এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১২টায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর কলরব শিল্পীগোষ্ঠী তাদের জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে। গায়ক নাহিদ পরিবেশন করেন “পলাশীর প্রান্তর” ও “৩৬ জুলাই” গান। এরপর গায়িকা তাশফি গেয়েছেন “নোঙর তোল তোল”, “তুমি প্রিয় কবিতা” এবং “কারার ওই লৌহকপাট”।
বিকেল ২টা ২৫ মিনিটে “ফ্যাসিস্ট পলায়ন” প্রতীকী উদ্যাপনে আকাশে বেলুন উড়ানো হয়। এরপর চট্টগ্রাম হিপ হপ হুড মঞ্চে ওঠে এবং পরিবেশন করে “চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার” ও “আমরা আইছি ঢাকা কাঁপাইতে” গান। র্যাপার শেজান পরিবেশন করেন “কথা কা”, “হুদাই হতাশে”, “ডাক দিয়াছেন দয়াল আমায়”সহ বেশ কয়েকটি র্যাপ গান।
জনপ্রিয় ব্যান্ড শূন্য পরিবেশন করে “শত আশা”, “বেহুলা”, “রাজাহীন রাজ্য” এবং “শুনো মহাজন”। এরপর গায়ক ইথুন বাবু ও মৌসুমি মঞ্চে ওঠেন। তারা পরিবেশন করেন “কলেজ মিউজিক”, “আমাদের বাংলাদেশ”, “মা” (পলাশ), “দেশটা তোমার বাপের নাকি” (মৌসুমি), “এখনও আমরা জেগে আছি” এবং “একটা চাদর হবে চাদর”।
পরবর্তীতে গায়িকা ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান তার জনপ্রিয় বিপ্লবী গান দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। তিনি পরিবেশন করেন “আমি গাইছি সবার গান”, “তাজ্জব বনে যাই”সহ আরও কয়েকটি গান।
এরপর ধারাবাহিকভাবে মঞ্চে ওঠে ব্যান্ড সোলস, ওয়ারফেইজ, বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল, বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ব্যান্ড এফ মাইনর, গায়িকা পারশা মাহজাবিন ও এলিটা করিম। প্রতিটি পরিবেশনাই দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।
রাত ৮টায় জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল মঞ্চে ওঠে। তারা পরিবেশন করে “স্বাধীনতা ম্যাডলি”, “দুঃখবিলাস”, “পাঠশালা”, “অন্য সময়”, “বাংলাদেশ”, “কাণ্ডারি হুশিয়ার”সহ তাদের জনপ্রিয় গান।
সারাদিনব্যাপী আয়োজনে দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড ও সংগঠনের ২৫০ জনের বেশি শিল্পী অংশ নেন। বৃষ্টির মধ্যেও হাজারো দর্শক অনুষ্ঠানে ভিড় জমান।