জুলাই মাসের গণআন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটোর) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে এ অভিযোগ তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটির নেতারা।
পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মুখপাত্র সিন্থিয়া জাহিন আয়েশা বলেন, “আমরা আহতদের ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। এক মা জানিয়েছেন, তিনি তার ছেলেকে সাময়িকভাবে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর ফের হাসপাতালে আনলে ভর্তি নেওয়া হয়নি।”
তিনি বলেন, ওই মা গৃহকর্মীর কাজ করে ছেলের ওষুধ ও খাবারের খরচ চালাচ্ছেন। অথচ চিকিৎসার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো নিশ্চয়তা তারা পাচ্ছেন না।
কমিটির সভাপতি রিফাত রাশেদ বলেন, “আহতদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা গেছে। অনেকেই বলেছেন, তারা চিকিৎসার অভাবে ভুগছেন। কারও শরীরে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। অথচ রোগীদের নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে তারা নাকি গোষ্ঠীবদ্ধ হয়েছে, অথচ আন্দোলনে তারা সবাই একসঙ্গে রাজপথে ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “যারা গুরুতর অবস্থায় আছে, তাদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো উচিত। আমরা হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন তিনি অসহায়। কিন্তু কেন, সে প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টাই এর উত্তর দিতে পারেন, আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করব।”
আহতদের একজন সোহরাব অভিযোগ করেন, “আমাদের অনেকে সংক্রমণে ভুগছে। ঈদের আগে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ফের ভর্তি নেওয়া হবে, কিন্তু এখন কেউ কথা রাখছে না।”
আহত আশিক বলেন, “আমি ১১ দিন আগে বাসা থেকে ফিরে এসেছি। আমাকে ভর্তি করা হয়নি। মেঝেতে শুয়ে আছি চিকিৎসা ছাড়াই। শুধু আশায় আছি হয়তো চিকিৎসা পাব।”
আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না হয়, তাহলে হাসপাতালের ভেতরেই আবার জুলাই ঘটতে পারে। আন্দোলনের চেতনা নিয়ে গড়ে ওঠা এসব তরুণ এখন চায় ন্যায্য ও মানবিক চিকিৎসা।