রাজধানীর শাহবাগে ‘জুলাই ঐক্য’ নামে একটি জোট মঙ্গলবার সকালে ‘জুলাই মিছিল পুনরুজ্জীবন’ শিরোনামে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। জোটটি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল শুরু করে শাহবাগে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করে।
সমাবেশ থেকে সংগঠনটির নেতারা দাবি জানান গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের অবসান, তথাকথিত গণহত্যাকারীদের বিচার এবং ‘ভারতের দালাল হাসিনা’র পদত্যাগ। একইসঙ্গে তারা ‘জুলাই চার্টার’ এবং ‘জুলাই ঘোষণার’ সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবি যুবায়ের বলেন, “হাজারো শহীদের রক্তে দাঁড়িয়ে যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তারা আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারেননি, গণহত্যার বিচারও করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি এক বছর পার হয়ে গেলেও জুলাই ঘোষণাও আনতে পারেননি। তাহলে এই অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ করছে কী?”
তিনি আরও বলেন, “শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তথাকথিত সিভিল সোসাইটির প্রভাবে পথ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে পুরনো ব্যবস্থাই বহাল রয়ে গেছে। এখনও সময় আছে, জুলাইয়ের রায়কে স্বীকৃতি দিন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন, এবং পদত্যাগ করুন।”
জোটের অপর এক নেতা মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “সরকারের কিছু উপদেষ্টা ঘুষ খেয়ে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠদের ডেপুটি কমিশনার বানিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সহযোগীদের বিভিন্ন খাতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। যেমন আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকে একচেটিয়া করেছিল, তেমনি ‘ছাত্র শক্তি’ ২৪-এর জুলাই আন্দোলনকে একচেটিয়া করে ফেলেছে। জনগণের আন্দোলনে রূপ নিতে দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো একতরফা ঘোষণা মেনে নেব না। আমরা চাই, জুলাই ঘোষণার সাংবিধানিক স্বীকৃতি।”
সমাবেশে জোটটি এক মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।
এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শাহবাগ এলাকায় ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। তবে পুরো কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।