Monday, September 8, 2025
Homeজাতীয়জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জু্কসু নির্বাচনে অমর্ত্য রায় জন অযোগ্য ঘোষিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জু্কসু নির্বাচনে অমর্ত্য রায় জন অযোগ্য ঘোষিত

ভিপি প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন, স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জুকসু) নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের অমর্ত্য রায় জনকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মুনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র নন বলে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

অমর্ত্য রায় জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী এবং এএফএম কামালুদ্দিন হলের আবাসিক ছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জুকসুর সংবিধানের ৪ এবং ৮ ধারার আলোকে তিনি ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। ফলে তাঁর নাম প্রার্থীতার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট বৈঠকে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী অমর্ত্যকে বিশেষ বিবেচনায় স্নাতক কোর্স ৪০৮ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হয় তিনি অনিয়মিত শিক্ষার্থী, যা কমিশনকে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সালেহ আহমদ জানান, অমর্ত্য ২০২১ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অংশ নেন কিন্তু ৪০৭ ও ৪০৮ কোর্সে অকৃতকার্য হন। নিয়ম অনুযায়ী তিনি কেবল একবার উন্নয়ন পরীক্ষার সুযোগ পাওয়ার কথা থাকলেও কার্যালয়ের ত্রুটির কারণে দুইবার সুযোগ পান। তবুও একটি কোর্সে পাস করতে না পারায় স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে পারেননি। পরে তাঁর জন্য স্নাতক পর্যায়ে পরীক্ষার সুযোগ রাখা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, কমিশনের অবস্থান বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কারভাবে দেওয়া হয়েছে, আলাদা করে মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই।

অমর্ত্যের প্রার্থিতা বাতিলের পরপরই ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

লিখিত বিবৃতিতে প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শরণ আহসান বলেন, “আমরা জানাতে চাই এই নির্বাচন জালিয়াতি, পক্ষপাতিত্ব ও অবিচারে ভরপুর। আমরা উপাচার্য ও চ্যান্সেলরের হস্তক্ষেপ চাই। প্রয়োজনে আমরা আইনি লড়াই করব।”

৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুকসু নির্বাচন আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মোট সাতটি প্যানেল ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

RELATED NEWS

Latest News