হিমাচল প্রদেশের রাজনীতিতে নতুন দিক নির্দেশনা আনতে মাঠে নেমেছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। শুক্রবার তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শান্তা কুমার এবং প্রেম কুমার ধুমালের সঙ্গে তাঁদের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকগুলো হয় সামিরপুর ও পালমপুরে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সদ্য নির্বাচিত রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব বিন্দল, স্থানীয় বিধায়ক এবং সাবেক বিধায়করা। সূত্রের দাবি, ২০২৭ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বিজেপি পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “এটি একটি বড় ধরনের উদ্যোগ। জে পি নাড্ডা রাজ্যজুড়ে দলের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করতে চান।”
যদিও শান্তা কুমার ও প্রেম কুমার ধুমাল বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিতে নেই, তবে তাঁদের প্রভাব ও জনপ্রিয়তা এখনও রাজ্যজুড়ে ব্যাপক। দলটি ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
রাজীব বিন্দল তাঁর পুনর্নির্বাচনের পর স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তাঁর মূল লক্ষ্য হবে কংগ্রেস সরকারকে অপসারণ করা। বিজেপির দাবি অনুযায়ী, ২০২২ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ৪৩.৯ শতাংশ ভোট পায়, যেখানে বিজেপির ভোট ছিল ৪৩ শতাংশ। ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ৩৭,৯৭৪, যা মোটে ০.৯ শতাংশ।
বিজেপি আরও জানায়, ভোরাঞ্জ, শিল্লাই ও সুজানপুর আসনে কংগ্রেস মাত্র ৬০, ৩৮২ ও ৩৯৯ ভোটের ব্যবধানে জয় পায়। অথচ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যের ৬৯টি আসনের মধ্যে ৬১টিতে এগিয়ে ছিল এবং হিমাচলের চারটি আসনেই বিজয়ী হয়।
এই প্রেক্ষাপটে, দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে শক্তিশালী সমন্বয় গড়ে তুলতে বিজেপির এই কৌশলগত বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।