বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের সঙ্গে ম্যাচশেষের হ্যান্ডশেক প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠা জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, পুরো বিষয়টি অতিরঞ্জিতভাবে প্রচারিত হয়েছে এবং কোনো পর্যায়েই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়নি।
জ্যোতি বলেন, “না না, এমন কিছু হয়নি। টসের আগে ম্যাচ রেফারি টিম শিট পরীক্ষা করার সময় স্বাভাবিকভাবেই কথা হয়েছে। ম্যাচের পরও স্বাভাবিক নিয়মে হাত মেলানো হয়েছে। ঘটনাটি অকারণে অতিরিক্ত প্রচার পেয়েছে। কোনো সমস্যাই ছিল না।”
আসন্ন ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচিকে সামনে রেখে জ্যোতি স্বল্প বিরতিতে যাচ্ছেন। ইনজুরির ঝামেলা কাটিয়ে শতভাগ ফিট হয়ে ফেরাই তাঁর লক্ষ্য। “আগেই বলেছিলাম, কিছু ইনজুরি আছে বলে আমি একটি বিরতি চাই। দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ আসছে, টি২০ বাছাইপর্বও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পুরোপুরি ফিট থাকতে চাই,” বলেন তিনি।
সাম্প্রতিক বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাও তুলে ধরেন জ্যোতি। তাঁর মতে, বড় টুর্নামেন্টের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অপরিহার্য। “বিশ্বকাপ খেলতে গেলে ছয় মাস আগে প্রস্তুতি শুরু করলে হয় না। অন্য দলগুলো দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নেয়। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার সক্ষমতা রাখি। সামান্য বেশি পরিণতিবোধ দেখাতে পারলে হয়তো সেমিফাইনালেও থাকতে পারতাম। পরের বিশ্বকাপের জন্য মানসিকতা ও প্রস্তুতিতে এখনই উন্নতি দরকার,” মন্তব্য জ্যোতির।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির সমর্থন পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, “স্বীকৃতি পাওয়া ভালো লেগেছে। ফলাফল আমাদের পক্ষে না গেলেও তিনি সবসময় খোঁজখবর রাখেন এবং সমর্থন দিয়ে আসছেন।”
দলের সামনে ঘরের মাঠে ভারত সিরিজ এবং টি২০ বাছাইপর্বকে ঘিরে উচ্চাশা আছে। জ্যোতির স্পষ্টীকরণে মাঠের বাইরের আলোচনার বদলে এখন ফোকাস থাকার কথা প্রস্তুতি, ফিটনেস এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে।
