Saturday, June 28, 2025
Homeবিনোদন‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ সিনেমায় নিজ চরিত্রের থিম সংগীতে ক্ল্যারিনেট বাজালেন জোনাথন বেইলি

‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ সিনেমায় নিজ চরিত্রের থিম সংগীতে ক্ল্যারিনেট বাজালেন জোনাথন বেইলি

নিজ চরিত্রের থিম সংগীতেই ক্ল্যারিনেট বাজিয়ে জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত কাটালেন অভিনেতা

হলিউড অভিনেতা জোনাথন বেইলি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি সংগীতেও রেখেছেন নিজস্ব অবদান। তার চরিত্রের থিম সংগীতে ক্ল্যারিনেট বাজিয়ে জীবনের সবচেয়ে গর্বের মুহূর্তের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন তিনি।

‘দ্য টুনাইট শো স্টারিং জিমি ফ্যালন’-এ উপস্থিত হয়ে বেইলি বলেন, “এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। আমার ভিতরের বইপড়ুয়া সত্তা যেন জ্বলে উঠেছিল।”

লন্ডনে রিচার্ড II নাটকের মঞ্চাভিনয় চলাকালে পরিচালক গ্যারেথ এডওয়ার্ডস জানিয়েছিলেন, অ্যাবি রোড স্টুডিওতে ফিল্মের স্কোর রেকর্ড করা হবে। অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক আলেক্সান্দ্রে দেসপ্লার সংগীতের পাশাপাশি এতে জন উইলিয়ামসের মূল থিম থেকেও সংগীত অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বেইলি বলেন, তিনি রেকর্ডিং দেখতে গিয়েছিলেন এবং ১০৫ সদস্যবিশিষ্ট অর্কেস্ট্রা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।

তিনি জানান, স্কুলে ক্ল্যারিনেট বাজাতেন এবং এক পর্যায়ে সাহস করে বলেন, “আমি কি আমার ক্ল্যারিনেট নিয়ে আসতে পারি?” এরপর শুক্রবার তাকে বাজানোর সুযোগ দেওয়া হয়।

প্রথমে একটু দ্বিধায় থাকলেও দেসপ্লার প্রস্তাবে অবশেষে রাজি হন বেইলি। তিনি বলেন, “আমি জানতাম এই সুযোগ না নিলে সারাজীবন আফসোস করব।”

শেষ পর্যন্ত তিনি বাজিয়েছেন তারই চরিত্র ড. হেনরি লুমিসের থিম সঙ্গীত, যা সিনেমার স্কোরে যুক্ত হয়েছে।

১৯৯৩ সালে ‘জুরাসিক পার্ক’ মুক্তির বছরেই তার দাদা প্রথম ক্ল্যারিনেট উপহার দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি টেনে বেইলি বলেন, “এটা যেন পূর্ণ এক চক্রের অনুভূতি। যদি আপনি কিছু ভালোবাসেন এবং তা ধরে রাখেন, সেটি একদিন ফল দেবে।”

‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ ছবির কাহিনি গড়ে উঠেছে ক্রিস প্র্যাট অভিনীত শেষ সিনেমার পাঁচ বছর পর। ডাইনোসররা বিলুপ্তির পথে, শুধু নিরক্ষীয় অঞ্চলে কিছু বেঁচে আছে। জেনেটিক উপাদান সংগ্রহের জন্য একটি মিশন পরিচালনা করে একটি ওষুধ কোম্পানি, যেখানে বেইলি ছাড়াও রয়েছেন স্কারলেট জোহানসন ও মাহারশালা আলি।

চরিত্র ড. লুমিস হিসেবে একটি ডাইনোসরের গায়ে হাত রাখার মুহূর্তে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বেইলি। তিনি বলেন, “সব মানুষই জীবনে খুঁজে ফেরে এমন কিছু, যা তাদের সবচেয়ে খাঁটি আবেগে ছুঁয়ে যায়। এই মুহূর্তটিই ছিল আমার কাছে সেই অনুভূতির প্রতিফলন।”

এই অভিনয় ও সুরের অভিজ্ঞতা বেইলির ক্যারিয়ারে অনন্য সংযোজন হয়ে থাকবে বলেই মনে করছেন ভক্তরা।

RELATED NEWS

Latest News