জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ সম্প্রতি দ্য টাইমস ইউকে-কে দেওয়া এক বিস্তৃত সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের নানা অধ্যায় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমি ছিলাম #MeToo আন্দোলনের এক পরীক্ষামূলক পুতুল। এই অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।”
অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে আলোচিত আইনি লড়াই নিয়ে ডেপ বলেন, “আমার ফিরে আসা? আমি কোথাও যাইনি। যদি চলে যেতাম, আর ফিরতাম না। আমি কোনো কিছু নিয়ে অনুশোচনা করি না। কারণ, গত সপ্তাহের রাতের খাবারের জন্য এখন আর কিছুই করা যায় না।”
২০২২ সালে এই মামলায় জনি ডেপ মানহানির অভিযোগে জয়লাভ করেন। তবে অ্যাম্বার হার্ড রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এবং পরে একটি চুক্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। মামলার সূত্রপাত হয়েছিল হার্ডের ২০১৮ সালের এক ওয়াশিংটন পোস্টের লেখাকে কেন্দ্র করে, যেখানে তিনি ডেপের নাম উল্লেখ না করলেও নিজেকে গার্হস্থ্য সহিংসতার শিকার বলেন।
সাক্ষাৎকারে ডেপ বলেন, “সবাই বলছিল, ‘সব ঠিক হয়ে যাবে।’ কিন্তু আমি জানতাম, তা হবে না। আমি যদি সত্যকে তুলে না ধরি, তবে আমি যেসব অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছি, তা সত্যি বলে ধরা হবে। আমার সন্তানদের তা বয়ে বেড়াতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি জানতাম, এটা সহজ হবে না। কিন্তু আমি লড়তে চেয়েছি। শেষ পর্যন্ত যদি আমাকে পেট্রোল পাম্পে কাজ করতে হয়, তাও মেনে নেব। কারণ, আমি সেটা আগেও করেছি।”
ডেপ অভিযোগ করেন, অনেকেই তার পাশে দাঁড়াননি, যাদের তিনি বন্ধু ভেবেছিলেন। “তারা আমার সন্তানের জন্মদিনে এসেছিল। কিন্তু সত্যের পাশে দাঁড়ায়নি।”
তিনি জানান, এই অভিজ্ঞতা তার #MeToo আন্দোলনের আগে হয়েছে, আর সে কারণেই হয়তো কেউ পাশে ছিল না। তবে ২০১৭ সালে হার্ভি ওয়াইনস্টিনের ঘটনাগুলো সামনে আসার পর #MeToo আলোচনায় আসে।
২০২২ সালের পর ডেপ আবার সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। তিনি এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে উপস্থিত হন, ইউরোপে ব্যান্ড ‘হলিউড ভ্যাম্পায়ারস’-এর সঙ্গে ট্যুরে যান এবং ‘সাভেজ এক্স ফেন্টি’-র ফ্যাশন শোতেও দেখা যায়।
সম্প্রতি, তিনি ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ সহ অভিনেত্রী পেনেলোপ ক্রুজের সঙ্গে ‘ডে ড্রিঙ্কার’ সিনেমায় কাজ করছেন এবং টেরি গিলিয়ামের ‘কার্নিভাল: অ্যাট দ্য এন্ড অব ডেজ’-এর শুটিং শুরুর কথা রয়েছে, যেখানে আছেন অ্যাডাম ড্রাইভার, জেফ ব্রিজেস এবং জেসন মোমোয়া।
জনি ডেপের বক্তব্য স্পষ্ট, তিনি অতীত নিয়ে আফসোস না করে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চান।