জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরের জন্য ২৯৭.৮২ কোটি টাকার প্রাথমিক বাজেট পাস করেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম সিন্ডিকেট সভায় এই বাজেট অনুমোদিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন বাজেট উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, গবেষণা খাতে এবার ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
বাজেট অনুযায়ী, গবেষণার জন্য ৮.৩০ কোটি টাকা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ২৫ লাখ, বিভিন্ন অনুদানে ৫৮.২১ কোটি, যন্ত্রপাতিতে ৪.৯২ কোটি, পরিবহনে ৩ কোটি, তথ্যপ্রযুক্তিতে ১.৭০ কোটি এবং অন্যান্য মূলধনী খাতে ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
এছাড়া, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় ১২৮.৬ কোটি, পণ্য ও সেবায় ৮৪.৩১ কোটি, শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত উপবৃত্তিতে ৫৬ কোটি এবং অস্থায়ী আবাসন নির্মাণে ২৪.৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
প্রথমবারের মতো এমএ থিসিস, এমফিল ও পিএইচডি গবেষণায় শিক্ষার্থীদের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাজেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ১৮৭ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। বাকি ১১০ কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট হিসেবে ধরা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় বাজেট ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
কোষাধ্যক্ষ ড. সাবিনা শারমিন বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত উপবৃত্তি কিছুটা দেরি হলেও জুলাই থেকেই কার্যকর হবে। অন্যান্য খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর এটিই আমাদের প্রথম বাজেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন বিবেচনায় রেখে গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, এর আগে এপ্রিল মাসে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে বাজেট বাড়ানো অন্যতম ছিল।
এই বাজেটকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি নতুন দিক নির্দেশনা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।