পুলিশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) শিক্ষার্থী এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কনভেনর কমিটির সদস্য জুবায়ের হোসাইনের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তিনজনের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেছে। এর মধ্যে একজন হলেন জেএনইউ শিক্ষার্থী বার্জিস শাবনম বর্ষা।
মঙ্গলবার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আশরাফ হোসাইন আদালতে এ আবেদন জমা দেন। বংশাল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আবেদনটি তিন অভিযুক্ত এবং এক সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য করা হয়েছে।
অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন বর্ষার প্রেমিক মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু ফারদিন আহমেদ আয়লান।
এর আগে দিনভর জুবায়েরের ভাই এনায়েত হোসাইন সায়কাত বংশাল থানায় হত্যার মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, জুবায়ের ১৯ অক্টোবর বিকেল ৪:৩০টার দিকে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশন দেওয়ার জন্য নুরবক্স লেনের রোশন ভিলা বাড়িতে যান। পরে বিকেল ৫:৪৮ মিনিটের দিকে বার্ষা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে জুবায়েরের ছোট বিশ্ববিদ্যালয় সতীর্থ সায়কাতকে জানান, “কেউ জুবায়েরকে হত্যা করেছে।”
আরো পড়ুন | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জোবায়ের হত্যা: ১৮ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি
প্রায় রাত ৭টায় জেএনইউ শিক্ষার্থী কামরুল হাসান এনায়েতকে ফোনে হত্যার খবর দেন। এরপর এনায়েত এবং শারিফ মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে রাত ৮:৩০টার দিকে পৌঁছান। সিঁড়ি ও দেয়ালে রক্তের দাগ দেখে তারা ধারণা পান, এবং তৃতীয় তলার সিঁড়িতে রক্তমাখা অবস্থায় জুবায়েরের দেহ উদ্ধার করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অটপসি শেষে ২০ অক্টোবর জুবায়েরকে কুমিল্লা সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে দাফন করা হয়।