জাপানের শীর্ষস্থানীয় চালের ভূষির তেল উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সানওয়া ইউশি কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশ থেকে কাঁচা চালের ভূষির তেল আমদানির আগ্রহ জানিয়েছে।
সোমবার ঢাকার মতিঝিলে এফবিসিসিআই সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশে চালের ভূষির তেলের বাজার চাহিদা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর। তিনি বাংলাদেশের ভোজ্যতেল বাজার, চাহিদা-জোগান পরিস্থিতি ও বিনিয়োগ সুযোগ তুলে ধরেন।
সানওয়া ইউশির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইওজাইমন ইয়ামাগুচি বলেন, জাপানের ভোজ্যতেল বাজারে চালের ভূষির তেলের অংশ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ, কিন্তু দেশটির নিজস্ব উৎপাদন সেই চাহিদা পূরণে সক্ষম নয়।
তিনি বলেন, “জাপানের বাজারে চালের ভূষির তেলের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আমরা বাংলাদেশ থেকে কাঁচা তেল আমদানি করতে আগ্রহী।”
বিনিয়োগ ও সহযোগিতার আহ্বান
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সুদান জিনিং কটন কোম্পানির গাজী মাহমুদ কামাল এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন। তারা বলেন, চালের ভূষির তেল উৎপাদন বাড়লে বাংলাদেশে ভোজ্যতেল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে।
তারা আরও উল্লেখ করেন, দেশের প্রচুর চাল উৎপাদনের কারণে কাঁচামালের ঘাটতি নেই, যা এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগের বড় সুযোগ তৈরি করেছে।
এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশে চালের ভূষির তেল শিল্পে জাপানি বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা স্বাগত। সানওয়া ইউশি স্থানীয়ভাবে কার্যক্রম শুরু করলে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেওয়া হবে।”
স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মতামত
কিছু দেশীয় উৎপাদক সভায় মত প্রকাশ করেন যে কাঁচা তেল রপ্তানি করলে স্থানীয় পরিশোধন কারখানাগুলো কাঁচামালের ঘাটতির মুখে পড়তে পারে। তারা পরামর্শ দেন, বাংলাদেশ যেন কাঁচা তেলের পাশাপাশি পরিশোধিত চালের ভূষির তেল রপ্তানির দিকেও গুরুত্ব দেয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সানওয়া ইউশির করপোরেট প্ল্যানিং বিভাগের নির্বাহী সহ-সভাপতি তাকাকি ইয়ামাগুচি, এফবিসিসিআইয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল, ব্যবসায়ী ও শিল্পখাতের প্রতিনিধিরা।
এই বৈঠককে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কৃষিভিত্তিক শিল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি সম্ভাবনাময় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।