বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় জানিক সিনার উইম্বলডনের ঠিক আগে দুটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন। ফ্রেঞ্চ ওপেনের হতাশাজনক ফাইনাল পরাজয়ের পর তিনি তার ফিটনেস ট্রেইনার মার্কো প্যানিকি এবং ফিজিওথেরাপিস্ট উলিসেস বাদিও-কে বাদ দিয়েছেন।
সিনার জানিয়েছেন, এই পরিবর্তন তার লক্ষ্য অর্জনে কোনও বাধা হবে না। বরং নতুন কিছু শুরু করার জন্য এটি তার নিজস্ব এক আত্মবিশ্বাসী সিদ্ধান্ত।
“আমি প্রস্তুত। আমি আমার দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আমরা আগেও দারুণ ফলাফল করেছি, কিন্তু এবার কিছু ভিন্নভাবে করতে চাই,” অল ইংল্যান্ড ক্লাবে সাংবাদিকদের বলেন সিনার।
তিনি জানান, সিদ্ধান্তটি একেবারেই সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল।
“খেলাধুলায় এমন পরিবর্তন আসতেই পারে। আমার মনে হয়েছে ভিন্ন কিছু দরকার। সেটাই করছি,” বলেন ২৩ বছর বয়সী ইতালিয়ান এই তারকা।
সিনার জানালেন, রোলাঁ গ্যারোর ফাইনালেই তার ফিটনেস টিমের সঙ্গে শেষ কাজ ছিল। সেখানে তিনি কার্লোস আলকারাজের বিপক্ষে দুটি সেটে এগিয়ে থেকেও হেরে যান। তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট হাতছাড়া হয় তার।
গত বছর উইম্বলডনে সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়া সিনারের এবারের শুরুটা হবে সহ-জাতীয় খেলোয়াড় লুকা নার্দির বিপক্ষে। যদিও তার প্রস্তুতি কিছুটা ধাক্কা খায় হ্যালে ওপেনের শেষ ষোলোতে আলেকজান্ডার বুবলিকের কাছে হেরে।
তবে সিনার এখন আত্মবিশ্বাসী, “এখানে ফিরে ভালো লাগছে। প্রস্তুতিও ভালো হচ্ছে। আমরা খুব ভালো অনুশীলন করছি। আমি খেলায় নামার জন্য প্রস্তুত।”
এবারের উইম্বলডনে সিনারের লক্ষ্য প্রথম শিরোপা জেতা। তবে পথটা সহজ নয়। সম্ভাব্য সেমিফাইনালে তার মুখোমুখি হতে পারেন সাতবারের চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচ।
তবে এই সম্ভাব্য লড়াই নিয়ে চিন্তিত নন সিনার। বরং কোর্টের বাইরের কিছু নতুন অভিজ্ঞতা উপভোগ করছেন তিনি।
সম্প্রতি ইতালির বিখ্যাত টেনর আন্দ্রেয়া বোচেলির সঙ্গে ‘পোলভেরে এ গ্লোরিয়া’ শিরোনামে একটি ডুয়েটে অংশ নিয়েছেন সিনার। গানটিতে তিনি বিজয় ও পরাজয় নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করেছেন।
“এটা একদম ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা। আন্দ্রেয়া বোচেলি একজন অসাধারণ শিল্পী। এই প্রজেক্টের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য দারুণ এক অনুভূতি ছিল,” বলেন সিনার।
এছাড়া ফ্যাশন ব্র্যান্ড গুচির সঙ্গেও কাজ করছেন তিনি।
“গুচি একটি ইতালিয়ান ব্র্যান্ড। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। ফ্যাশন শোতে গিয়ে আমি অনেক কিছু শিখি। রঙ বাছাইয়ের পেছনে ভাবনা কী থাকে, সেটাও জানতে চেষ্টা করি,” জানান সিনার।
তবে তিনি নিজেই স্বীকার করেন, “আমি এমন কেউ না যে নজর কাড়তে কিছু পরে। আমি শুধু নতুন কিছু শিখতেই পছন্দ করি।”
নতুন পথের শুরুতে সিনার এখন অপেক্ষায় উইম্বলডনে তার পারফরম্যান্স দিয়ে নিজের অবস্থান প্রমাণ করার।