প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার আগেই নতুন ‘সুপারম্যান’ সিনেমা নিয়ে প্রশংসা শুরু হয়েছে। ডিসি স্টুডিওর সহ-সিইও জেমস গানের পরিচালনায় নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি নতুন ডিসি ইউনিভার্সের সূচনা করছে।
ডেভিড করেনসওয়েট সুপারম্যান ও ক্লার্ক কেন্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যেখানে র্যাচেল ব্রসনাহানকে দেখা গেছে লোইস লেন হিসেবে এবং নিকোলাস হোল্ট অভিনয় করেছেন লেক্স লুথরের ভূমিকায়।
সিনেমার লস অ্যাঞ্জেলেস প্রিমিয়ারে জেমস গান বলেন, “আমি এমন এক সুপারম্যান দেখাতে চেয়েছিলাম যার মধ্যে বিশাল ডিসি বিশ্ব আছে, তবে একই সঙ্গে তার ব্যক্তিত্ব, বিশ্বাস, দুর্বলতা ও লোইসের সঙ্গে সম্পর্ক তুলে ধরা যায়।”
সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া
দ্য হলিউড রিপোর্টার–এর প্রধান চলচ্চিত্র সমালোচক ডেভিড রুনি বলেন, “ডেভিড করেনসওয়েট একজন দুর্দান্ত সুপারম্যান, যিনি মানবতাবোধ, আত্মসংশয় এবং হৃদয় ছোঁয়া অভিনয় করেছেন। র্যাচেল ব্রসনাহানের সঙ্গে তার সম্পর্কটি দুর্দান্তভাবে ফুটে উঠেছে।”
নিউ ইয়র্ক টাইমস–এর এলিসা উইলকিনসন মন্তব্য করেন, “এই ছবিটি একটি আন্তরিক ও হাস্যরসাত্মক প্রচেষ্টা। র্যাচেল ব্রসনাহানের লোইস লেন চরিত্রটি বাস্তবসম্মত ও শক্তিশালী। এ ধরনের নারী সাংবাদিক চরিত্র সিনেমায় বিরল।”
কলাইডার–এর রস বোনেইম বলেন, “সুপারম্যান একটি চমৎকার নির্মাণ। এটি পুরাতন ডিসি চলচ্চিত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভবিষ্যতের জন্য নতুন ভিত্তি তৈরি করছে। গানের সিনেমাটি আশাবাদ, মানবিকতা ও রোমাঞ্চ ফিরিয়ে এনেছে।”
ইউএসএ টুডে–এর ব্রায়ান ট্রুয়িট মন্তব্য করেন, “এই সিনেমায় অ্যাকশন যেমন আছে, তেমনি রয়েছে আন্তরিকতা। সুপারম্যান যেভাবে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে, তাতে চরিত্রটি দর্শকদের জন্য হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে।”
তবে এম্পায়ার–এর সোফি বুচার কিছু সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “লেক্স লুথরের চরিত্রে কিছুটা আবেগ থাকলেও চরিত্রটি গভীর নয়। সুপারম্যানও কিছু ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত মান ছুঁতে পারেনি, সংলাপে দুর্বলতা রয়ে গেছে।”
এপি–র জেক কয়েল বলেন, “গান নিজের স্বতন্ত্র রীতিতে সিনেমাটি সাজিয়েছেন। সিনেমার মধ্যে কিছু বিচিত্রতা ও মানবিকতা এনে দিয়েছেন যা আজকের সুপারহিরো সিনেমায় বিরল।”
আইজিএন–এর টম জর্জেনসেন সিনেমাটিকে বলেন “হৃদয়ছোঁয়া এক যাত্রা।” তিনি লেখেন, “এই সিনেমা সুপারম্যান চরিত্রকে নতুনভাবে চিনিয়েছে এবং ডিসি ইউনিভার্সের ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে।”
গানের সুপারম্যান একদিকে যেমন পুরনো দিনগুলোর রোমাঞ্চ ফিরিয়ে এনেছে, তেমনি আধুনিক দর্শকের চাহিদাও মেটাতে সক্ষম হয়েছে। প্রথাগত সুপারহিরো ছবির সীমা ছাড়িয়ে এটি নতুন এক মানবিক, মজার এবং গভীর চিন্তার জগতে দর্শকদের নিয়ে গেছে। অনেকেই বলছেন, ডিসি সিনেমার নতুন যুগের শুরু হল সুপারম্যান দিয়েই।