জেমস গানের লেখা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘সুপারম্যান’ মুক্তির আগেই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে। মার্কিন বক্স অফিসে সিনেমাটি ১৩০ মিলিয়ন ডলারের উদ্বোধনী আয়ের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে শীর্ষস্থানীয় ট্র্যাকিং সংস্থা এনআরজি। তবে ডিসি স্টুডিওস নিজেদের পূর্বাভাসে বলছে, তারা ১০০ মিলিয়নের সামান্য বেশি আয়কেই বাস্তবসম্মত মনে করছে।
হলিউডের গরমকালীন ব্লকবাস্টার তালিকায় এই ‘সুপারম্যান’ অন্যতম আকর্ষণ। আগামী ১১ জুলাই সিনেমাটি উত্তর আমেরিকার পাশাপাশি ৭৮টি আন্তর্জাতিক বাজারে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে।
সিনেমাটিতে সুপারম্যান চরিত্রে ডেভিড করেনসওয়েট, লুইস লেনে র্যাচেল ব্রসনাহান এবং লেক্স লুথারে নিকোলাস হোল্ট অভিনয় করেছেন। এছাড়া জিমি ওলসেন চরিত্রে স্কাইলার গিসোন্দো, হকগার্ল হিসেবে ইসাবেলা মার্সেড এবং আরও কিছু সুপারহিরো চরিত্রে পরিচিত মুখদের দেখা যাবে।
সুপারম্যানকে ঘিরে আগ্রহের পেছনে একদিকে যেমন নস্টালজিয়া, তেমনি রয়েছে পরিচালকের ভাবমূর্তিও। ডিসি স্টুডিওসের সহপ্রধান হিসেবে গানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তার প্রথম বড় প্রজেক্ট।
২০১৬ সালে জ্যাক স্নাইডারের ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান উদ্বোধনী দিনে ১৬৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল, আর ম্যান অব স্টিল ২০১৩ সালে ১১৬ মিলিয়ন। সেই তুলনায় এবার প্রত্যাশা সামান্য কম হলেও দর্শকের আগ্রহে কোনো ঘাটতি নেই।
রটেন টমেটোজ-এ সিনেমাটির সমালোচক রেটিং বর্তমানে ৮৪ শতাংশ। দ্য হলিউড রিপোর্টার এক পর্যালোচনায় লিখেছে, “মানবিক হৃদয় নিয়ে ফিরে এসেছে সুপারম্যান।”
জেমস গান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মানুষ এখন সত্যিকার নায়ক খুঁজছে, যিনি ভালো, সৎ ও নীতিবান। সুপারম্যান ঠিক সেই চরিত্র।”
তবে তিনি একসাথে এটাও স্বীকার করেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুপারহিরো ঘরানার সিনেমাগুলো বক্স অফিসে ক্লান্তির ছাপ ফেলেছে।
ডিসির অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে ‘গ্রিন ল্যান্টার্নস’ নামে একটি টিভি সিরিজ ও ২০২৬ সালে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘সুপারগার্ল’ সিনেমার কাজ এগোচ্ছে।
সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া ও আয়-পরিসংখ্যানই ঠিক করে দেবে, সুপারম্যান তার আগের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে পারছে কি না। তবে এখন পর্যন্ত সবকিছুই ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে।