জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, আসন্ন শুক্রবারের জাতীয় সনদ (ন্যাশনাল চার্টার) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং দলটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আশা করছে। বুধবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ তথ্য জানান।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক জরুরি বৈঠক শেষে তাহের বলেন, “আমরা ১৭ তারিখে (শুক্রবার) যাওয়ার আশা করছি। মাত্র একদিন বাকি। ইনশাআল্লাহ গেলে তখনই দেখবেন।” অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা এমন কোনো অনিশ্চয়তা দেখছি না।”
তাহের জানান, জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট—সাধারণ নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। দলের প্রস্তাব অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, “যদি একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে ভোটাররা তাদের প্রার্থীকেন্দ্রিক মনোযোগ দেবে, ফলে গণভোটের গুরুত্ব কমে যাবে।”
আরো পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের জন্য ডেনমার্কের সহায়তা চান জামায়াতের আমীর
জামায়াতে ইসলামী আরও প্রস্তাব দিয়েছে, গণভোটের মাধ্যমে এক প্যাকেজে সংস্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া উচিত, যার মধ্যে উচ্চকক্ষ গঠন এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক ভোট ব্যবস্থা (PR system) অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তাহের বলেন, এসব বিষয়ে জনগণের কাছে পরিষ্কার বার্তা পৌঁছানো জরুরি।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, “যদি উচ্চকক্ষের ভোট নির্বাচন-পূর্ব না হয়, তাহলে কি পরবর্তীতে আবার নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে?”
বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাহের বলেন, দলটি গণভোটের বিষয়ে সম্মত হলেও সময়সূচি নিয়ে কিছু মতপার্থক্য রয়ে গেছে। “গণভোট সংস্কার কমিশনের বিষয়, আর জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়,” যোগ করেন তিনি।