ডেপ্রবা ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক নিবন্ধন ফেরানোর পক্ষে রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়েদ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আগের রায় বাতিল করে জামায়াতের আপিল মঞ্জুর করেছেন। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সংগঠনটির নিবন্ধন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০০৯ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন, যেখানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০১৩ সালের আগস্টে হাইকোর্ট রায় দিয়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে।
তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত আপিল করলে, ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াত ২০২৪ সালের অক্টোবরে আপিল পুনর্জীবনের আবেদন জানায় এবং আদালত সেটি গ্রহণ করে। এরপর চার দিন শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতের নির্দেশে, নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একইসঙ্গে ইসির সামনে যেসব ইস্যু এখনো নিষ্পত্তিহীন রয়েছে, সেগুলোকেও দ্রুত সমাধান করতে হবে।
তবে আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, প্রতীক সংক্রান্ত বিষয়টি এই মামলার অন্তর্ভুক্ত নয়। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসিকে চিঠি দিয়ে দাড়িপাল্লা প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তখন সিদ্ধান্ত হয়, এটি কেবলমাত্র সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে ব্যবহৃত হবে।
আদালতের এই রায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও জামায়াতে ইসলামী বলছে, এটি ন্যায়বিচারের বিজয়, তবে শেষ সিদ্ধান্ত এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে।