বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম রাজনৈতিক সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে দলটি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, “এই সমাবেশ হবে একটি ঐতিহাসিক মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত। শুধু দলের নেতাকর্মী নয়, সাধারণ মানুষও অংশ নেবে যারা দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন চায়।”
তিনি জানান, এই সমাবেশ সফল করতে দেশের প্রতিটি এলাকায় রোডশো, সভা এবং প্রচারণা চলছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আনার জন্য প্রায় ১০ হাজার বাস ভাড়া করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রেন ও লঞ্চ ব্যবস্থার মাধ্যমেও মানুষ ঢাকায় আসবে।
সমাবেশে সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে। তারা ভিড় নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তায় কাজ করবেন।
দলের আমীর ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা সরাসরি প্রস্তুতি তদারকি করছেন বলেও জানান পরওয়ার। সমাবেশ সফল করতে একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার অধীনে আটটি উপকমিটি কাজ করছে।
তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের কাছে সমাবেশের অনুমতি ও সহায়তা চেয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশনস) নাজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে জামায়াতের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ট্রাফিক, পার্কিং, শব্দব্যবস্থা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
এ সময় আবারও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন জামায়াতের নেতারা।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এই সমাবেশ হবে একটি ‘নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ’ বার্তা।
দলের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, আগামী শনিবারের সমাবেশ হবে গণমানুষের অংশগ্রহণে এক নতুন ইতিহাসের সূচনা।