রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাইয়েদ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় যে সংস্কারের বিষয়ে একমত হয়েছে, তা আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, সংস্কার কার্যকর না হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাধ্য হয়ে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করবে। তাহেরের ভাষায়, যারা সংস্কারের বিরোধিতা করছে তারা আসলে সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চায়।
তাহের আরও বলেন, যারা অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, সংস্কার ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চায় তারা আবারও মাঠে ঐক্যবদ্ধ হবে এবং সরকারকে দাবিগুলো মানতে বাধ্য করবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে পথ বের করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি প্রস্তাব করেন, সংস্কার, নির্বাচনকালীন সময় ও অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি নিয়ে প্যাকেজ গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। তাহেরের বক্তব্য অনুযায়ী, জনগণ যা সিদ্ধান্ত নেবে, জামায়াত তা মেনে নেবে।
অতীতের সরকারগুলোকে সমালোচনা করে তাহের বলেন, “জাতি কিছু নেতার ওপর আস্থা রেখেছিল নতুন পথচলার আশায়, কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তারাও দানবে পরিণত হয়েছে। এটি তাদের দুর্ভাগ্য নাকি বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে।”
একই অনুষ্ঠানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জাতীয় স্বার্থে কনসেনসাস কমিশনের আলোচনায় তাদের দল বহু ত্যাগ স্বীকার করেছে। তিনি বিএনপিকেও জাতীয় স্বার্থে ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানান।
তিনি আরও সতর্ক করেন, সংস্কারগুলোকে আইনি ভিত্তি না দিলে এবং জুলাই চার্টার ও জুলাই ঘোষণাকে আইনগত কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত না করলে আসন্ন নির্বাচন জাতিকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তার ভাষায়, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে দেশের সামনে “আরেকজন হাসিনা” জন্ম নেবে।