ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জুলাই অভ্যুত্থান উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে রাজাকার ও আল-বদর সদস্যদের ছবি প্রদর্শনের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বামধারার ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে মশাল মিছিল ও কুশপুতুল দাহ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে জাবির বটতলা এলাকায় শুরু হয় মিছিলটি। মশাল হাতে নিয়ে ছাত্ররা বিভিন্ন আবাসিক হল অতিক্রম করে বটতলায় ফিরে আসেন এবং সেখানে প্রতীকী রাজাকারের কুশপুতুল দাহ করেন।
মিছিলটি হলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান শোনা যায়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশের জাবি শাখার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এমন। তিনি বলেন, “যেকোনো ছুতোয় রাজাকারদের স্বাভাবিকীকরণ করার চেষ্টা চললে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা ছাত্রসমাজ এর বিরোধিতা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে স্বাগত জানালেও আমরা গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ বা তাদের মিত্র জামাত-শিবিরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্য বলি না। শুধুমাত্র যারা ১৯৭১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ধারণ করে এসেছে, তারাই জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের নৈতিক অধিকার রাখে।”
প্রতিবাদকারীরা জানান, রাজাকারদের পুনর্বাসনের যেকোনো প্রচেষ্টা দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননা। এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, সেজন্য সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও, কিছু শিক্ষার্থী ও সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে মতপার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।