লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও এই হামলা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, নাবাতিয়েহ জেলার হারুফ এলাকায় একটি গাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ ঘটনায় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
নভেম্বরে হওয়া যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননে বিমান হামলা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহজুড়ে দেশটি হামলা আরও জোরদার করেছে, শুক্রবার দুটি হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল জানায়, প্রথম হামলায় তারা হিজবুল্লাহর একজন “লজিস্টিক কমান্ডার” এবং দ্বিতীয় হামলায় এক সদস্যকে হত্যা করেছে, যিনি “হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় জড়িত ছিলেন।”
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় চারজন নিহত হন, যার মধ্যে একজন বৃদ্ধা নারীও ছিলেন। ইসরায়েল জানায়, তাদের টার্গেট ছিল অস্ত্রভান্ডার, প্রশিক্ষণ শিবির ও সামরিক অবকাঠামো।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনীকে দক্ষিণ লেবানন থেকে সরে যাওয়ার কথা ছিল, এবং হিজবুল্লাহর উত্তর দিকে লিতানি নদীর ওপারে ফিরে গিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সামরিক ঘাঁটি ভেঙে ফেলার কথা ছিল।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এবং ইসরায়েলের বাড়তি হামলার আশঙ্কায় লেবানন সরকার হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে—যা সংগঠনটি এবং তাদের মিত্ররা কঠোরভাবে বিরোধিতা করছে।
চুক্তির শর্ত সত্ত্বেও, ইসরায়েল এখনো দক্ষিণ সীমান্তের পাঁচটি কৌশলগত এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে।
