দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে এলাকাবাসীদের সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, “আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে।”
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (NNA) নিশ্চিত করেছে, টাইর অঞ্চলের টুরা ও আব্বাসিয়ে শহরের কাছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের তায়বেহ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সংস্থাটি আরও জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বৈরুতের দক্ষিণাংশের উপর দিয়ে নিম্ন উচ্চতায় উড়ে গেছে।
এই হামলার মধ্য দিয়ে এক বছরের পুরনো যুদ্ধবিরতি কার্যত ভেঙে গেল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু করার আহ্বান নাকচ করেছে হিজবুল্লাহ। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “জাতীয় স্বার্থে এমন আলোচনা কার্যকর নয়। আমরা এমন এক শত্রুর বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার রাখি, যে আমাদের দেশকে বারবার হামলার মুখে ফেলছে।”
২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষ নাগাদ লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব পেয়েছিল। কিন্তু হিজবুল্লাহর অভিযোগ, ইসরায়েল এই প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করছে লেবাননের ভেতরে তাদের দখল বাড়ানোর কৌশল হিসেবে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখল ও হামলা চলমান থাকলে নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব নয়।
ইসরায়েলি সেনারা এখনো দক্ষিণ লেবাননের অন্তত পাঁচটি এলাকায় অবস্থান করছে এবং নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে—যা তারা “হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান” বলে দাবি করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বৃহস্পতিবারের হামলা সীমান্ত অঞ্চলে নতুন করে বড় আকারের সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
