Sunday, June 22, 2025
Homeআন্তর্জাতিকগাজায় ইসরায়েলি হামলায় হামাস নেতা মুহাম্মদ সিনোইরের মৃত্যুর দাবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হামাস নেতা মুহাম্মদ সিনোইরের মৃত্যুর দাবি

ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় চালানো সাম্প্রতিক বিমান হামলায় হামাসের সামরিক প্রধান মুহাম্মদ সিনোইরের মৃত্যুর দাবি করেছেন। যদিও হামাস এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

সম্প্রতি এক ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে নির্মূল করেছি। এর মধ্যে রয়েছে হামাসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইয়াহিয়া সিনোইরের ভাই মুহাম্মদ সিনোইর।” তিনি আরও বলেন, “আমরা হামাসের অস্ত্র সরবরাহের পথ কেটে দিয়েছি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রায় সব ধরনের রকেট হামলা বন্ধ করেছি।”

মুহাম্মদ সিনোইর ছিলেন ইসরায়েলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকার শীর্ষে। চলতি মাসের শুরুতে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলার লক্ষ্য ছিলেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর ব্যাপারে হামাস নিশ্চিত করে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, সিনোইর নিহত হয়ে থাকলে হামাসের উত্তরাঞ্চলীয় গাজা অঞ্চলে অপারেশন তত্ত্বাবধায়ক ইসালিন হাদাদের ওপর পড়বে সামরিক নেতৃত্বের পূর্ণ ভার। হামাসের পক্ষ থেকে সিনোইর ও হাদাদকে ‘ভূতের মতো’ নেতৃস্থানীয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়, যারা দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চোখ এড়িয়ে চলেছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইয়াহিয়া সিনোইর। তিনি নিহত হওয়ার পর মুহাম্মদ সিনোইর হামাসের সামরিক শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান। গত কয়েক মাসে একাধিক শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার মৃত্যুর পর সিনোইর ছিলেন হামাসের কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও ইসরায়েলের সঙ্গে অপ্রত্যক্ষ আলোচনা পরিচালনার কেন্দ্রে।

ইসরায়েলি পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে গাজার ফিলাডেলফিয়া করিডোর ও রাফাহ সীমান্ত পথসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মাধ্যমে হামাসের সামরিক পরিকাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

যদিও এই দাবিগুলোকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তবে মুহাম্মদ সিনোইরের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তা হামাসের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হবে।

RELATED NEWS

Latest News