প্যারিসভিত্তিক মিডিয়া সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ইসরায়েলের গাজার দিকে যাচ্ছিল এমন সহায়তা বহনকারী নৌফ্লোটিলায় ২০-এর বেশি বিদেশি সাংবাদিককে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি তাদের তাত্ক্ষণিক মুক্তির দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আরএসএফ জানিয়েছে, গত মাসে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ২০-এর বেশি বিদেশি সাংবাদিক ছিলেন। মানবিক সহায়তা বহনের এই নৌযানগুলোতে রাজনীতিবিদ ও কর্মী ছিলেন, যাদের মধ্যে সুইডেনের গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।
আরএসএফ জানায়, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইসরায়েলি নৌবাহিনী নৌযানগুলো আটক করলে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হয়। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, ৪০০-এর বেশি যাত্রী বহনকারী নৌযানগুলো গাজা পৌঁছাতে পারেনি।
আরএসএফ-এর ক্রাইসিস ডেস্কের প্রধান মার্টিন রু এক বিবৃতিতে বলেন, “সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা এবং তাদের কাজ করা বন্ধ করা তথ্য জানার অধিকার লঙ্ঘন। আমরা এই কাজকে অবৈধ মনে করি।”
গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকদের মধ্যে স্পেনের এল পাইস, কাতারের আল জাজিরা এবং ইতালির আরআই-এর প্রতিনিধি ছিলেন। সাংবাদিকদের পরিবারের কাছ থেকে এই মুহূর্তে আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েল জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের ইউরোপে নির্বাসিত করা হবে এবং কোনো নৌযান তাদের সমুদ্রনিরোধ ভেঙে গাজা প্রবেশ করতে পারেনি।
গাজায় চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। শুধুমাত্র নির্বাচিত কিছু মিডিয়া সংস্থা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে, এবং তাদের প্রতিবেদনের উপর কড়াকড়ি সেনা সেন্সরশিপ রয়েছে।
আরএসএফ জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরুর পর ২১০-এর বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর ২০২৩ হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি প্রতিশোধী অভিযান শুরু হয়, যা অনুযায়ী এ পর্যন্ত গাজায় ৬৬,২২৫ জন নিহত হয়েছেন, মূলত সাধারণ নাগরিক।
