ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির জানিয়েছেন, সেনা গাজার পরবর্তী অভিযানের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। নতুন পর্যায়ে মূল লক্ষ্য হবে গাজার শহর।
জামির বলেন, “আজ আমরা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছি। ‘গিডিয়নের চারিয়টস’ অভিযান চালিয়ে যাব, গাজার শহরের ওপর ফোকাস থাকবে। হামাসকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা হামলা চালিয়ে যাব।”
মধ্য-মে থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই বৃহৎ অভিযান শুরু করে। হামাসের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা “নবমরণ ও ব্যাপক বাস্ত্যায়নের নতুন ঢেউ” সৃষ্টি করবে। তারা এটিকে “একটি বড় যুদ্ধ অপরাধ” আখ্যায়িত করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা অনুমোদিত পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। গাজার শহর এবং আশেপাশের শিবিরগুলো নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মাধ্যমে হামাসকে পরাজিত এবং গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ হামলার সময় কিডনাপ করা হয়েছিল এমন বন্দিদের মুক্তি দেওয়াই লক্ষ্য।
জামির বলেন, “সর্বশেষ অভিযান আমাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে। হামাস এখন আগের ক্ষমতা রাখে না। আমরা তাদের একটি কঠোর আঘাত দিয়েছি। বর্তমান অভিযান কোনো ছোট লক্ষ্যবস্তু নয়; এটি দীর্ঘমেয়াদি ও পরিকল্পিত কৌশলের একটি ধাপ।”
শুক্রবার গাজার শহরের সীমানায় সেনারা হামলা চালিয়েছে। শনিবার ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধে বিপন্ন জনসংখ্যাকে দক্ষিণ গাজার দিকে সরানোর প্রস্তুতি চলছে। হামাস এটিকে “নিহত ও জোরপূর্বক স্থানান্তর ঢাকানোর জন্য প্ররোচনা” হিসেবে অভিহিত করেছে।
সেনার রেডিও জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজার শহরকে ঘেরাও করার আগে নগরবাসীকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হবে। এই অভিযানে লক্ষাধিক রিজার্ভ সৈন্যও অংশ নেবে।