ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় নতুন সামরিক অভিযানের জন্য মূল কাঠামো অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির গাজায় অভিযানের প্রধান পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন।
আশারক আল-আওসাতের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর কয়েকদিন আগে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এখনো অভিযান শুরু করার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেনি। গাজার বৃহত্তম এই শহরে ইতোমধ্যে হাজারো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, যারা পূর্ববর্তী অভিযানে অন্য এলাকা থেকে পালিয়ে এসেছে।
বুধবার গাজায় সহায়তা নিতে যাওয়া অন্তত ২৫ জনকে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা বলেন, নিহতদের অনেকেই সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রের পথে ছিলেন বা কনভয় প্রবেশের অপেক্ষায় ছিলেন। নিহতদের মরদেহ নাসের ও আওদা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নেতানিয়াহু এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আসন্ন অভিযানের সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়ার সুযোগ দেবেন। তার ভাষায়, “তাদের সুযোগ দিন চলে যাওয়ার, প্রথমে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে এবং চাইলে পুরো উপত্যকা থেকেও। আমরা তাদের জোর করে বের করছি না, বরং যেতে দিচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজার দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষের একটি বড় অংশকে স্থানান্তরিত করার লক্ষ্য রয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এটি কার্যত জাতিগত নিধনের শামিল হতে পারে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই গুলিবর্ষণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ গাজায় চলমান সংঘাত ইতোমধ্যে মানবিক সংকটকে আরও গভীর করেছে।